চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার নতুন ফিশারি ঘাট থেকে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া মাতারবাড়ির তিতামাঝির পাড়া এলাকার আব্দুল মান্নানসহ ১৮ মাঝিমাল্লাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইলও বন্ধ রয়েছে। গত ২০ দিন ধরে তারা কোথায় আছে, কেমন আছে বা কখন ঘরে ফিরবে সেই প্রতিক্ষায় আছে পরিবার। ‘এফবি খাজা আজমীর’ নামক মাছ ধরার নৌকাটির মালিক আলী আকবর। এ ঘটনায় নৌকা মালিক আলী আকবরের স্ত্রী সেলিনা আকতার বাদী হয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর নগরীর সদরঘাট নৌ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নিখোঁজদের মধ্যে ২ জন নোয়াখালীর, ২ জন বাঁশখালীর এবং নৌকা মালিকসহ বাকিরা কক্সবাজার সদর, চকরিয়া ও মহেশখালী এলাকার বাসিন্দা। নিখোঁজদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ফিশিং বোর্ডের মালিক আলী আকবর (৪৯), মাঝি আবু তাহের (৬৯), মাতারবাড়ির জেলে আবদুল মান্নান (৩৮), মো. রুবেল (২৭), আমির হোসাইন (২৭), মোহাম্মদ জামাল (৪৯), মোহাম্মদ ইসাক (৩৩), জামাল আহমদ (৩৪), মোহাম্মদ হেলাল (৩৫), শেফায়ত উল্লাহ (৩৯), জয়নাল আবেদীন জইন্যা (৫০), মোহাম্মদ এহছান (৩৮), মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন (৩৮) ও শাহাব উদ্দিন (৪৫)।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্ত্রী সেলিনা আক্তারের সঙ্গে আলী আকবরের সর্বশেষ ফোনালাপ হয়। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত নম্বরসহ অন্য স্টাফদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সেলিনা আক্তার বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম সাগরে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। কিন্তু টানা ১০ থেকে ১১ দিন অপেক্ষার পরও তাদের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এখনো স্বামী ও বোটের সব মাঝিমাল্লা নিখোঁজ। পুলিশও কোনো খোঁজ দিতে পারছে না।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে খোঁজ চলছে। দেশের প্রতিটি থানায় বার্তাও পাঠানো হয়েছে।