চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহকৃত জ্বালানি তেলের মধ্য থেকে এক লাখ টনের বেশি ডিজেল গায়েব হয়ে যাওয়ার আলোচিত ঘটনায় এবার পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। জ্বালানি তেল পরিবহনে বড় ধরনের ঘাটতির অভিযোগ নিয়ে দৈনিক আজাদীতে প্রতিবেদন প্রকাশের প্রেক্ষিতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সরকারি ছুটির দিনে গত বৃহস্পতিবার বিপিসি এই কমিটি গঠন করে।
বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (বণ্টন ও বিপণন) কে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে সিডিপিএল প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, রওনক উল ইসলাম, পিওপিএলসি উপ–মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড প্ল্যানিং) এবং পিটিসি পিএলসি উপ–মহাব্যবস্থাপককে (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং) সদস্য করা হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিপিসি উপ–ব্যবস্থাপক–২ (বাণিজ্য ও অপারেশন)কে। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য কোঅপ্ট করতে পারবে। কমিটিকে বিস্তারিত তদন্ত করে দশ কর্মদিবসের দিবসের মধ্যে বিপিসির চেয়ারম্যান বরাবরে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয় যে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সিডিপিএল–এর চট্টগ্রামস্থ ডেসপ্যাচ টার্মিনাল থেকে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (জেওসিএল) ফতুল্লা ডিপোতে ১ কোটি লিটার ডিজেল পাঠানো হয়। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর পর হিসাব মিলিয়ে দেখা যায় মোট ১,১২,৬১৪ লিটার (প্রায় ৯৪ মেট্রিক টন) ডিজেল কম পাওয়া গেছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে দৈনিক আজাদীতে ‘যমুনা অয়েলের এক লাখ লিটার ডিজেল গায়েব!’ শীর্ষক সংবাদের পর।
তদন্ত কমিটিকে সিডিপিএল এর ডেসপ্যাচ টার্মিনাল হতে পাম্পকৃত ১ কোটি লিটার গ্রহণকারী জেওসিএল এর ফতুল্লা ডিপোস্থ দুইটি ট্যাংক (ট্যাংক–২২ ও ট্যাংক–২৩) এর ক্যালিব্রেশন চার্ট যাচাই এবং ট্যাংকের ডিপ পরিমাপপূর্বক গৃহীত মোট জ্বালানি তেলের পরিমাণ এবং পাইপলাইনে ট্রানজিট লস (যদি থাকে) তা নিরূপণ করে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় যমুনা অয়েল কোম্পানির গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি আজ (শনিবার) থেকে কাজ শুরু করবে। কমিটির সদস্যরা আজ সকালে ফতুল্লা ডিপোতে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করবেন বলে সূত্র জানিয়েছে।৩