বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন এখনো শেষ হয়নি। আগামী ৬ অক্টোবর হবে নির্বাচন। তবে তার আগেই নির্বাচিত হয়ে গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগের দুই পরিচালক। তাদের একজন আহসান ইকবাল চৌধুরী আবীর। বিসিবি নির্বাচনে তার থাকার কথাও ছিলেননা। কারণ চট্টগ্রামের দুই কাউন্সিলর হিসেবে নাম পাঠানো হয়েছির মীর হেলাল উদ্দিন এবং ইস্রাফিল খসরুর । কিন্তু চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য না হওয়ায় ইস্রাফিল খসরুর কাউন্সিলরশিপ গৃহীত হয়নি। অথচ তার এক সপ্তাহ আগেই বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন আবীর। ফলে ইস্রাফিল খসরুর পরিবর্তে বিসিবিতে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করা হয় আবীরের নাম। এরপর তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নেমে যান। চট্টগ্রাম বিভাগের দুই পরিচালকের জন্য মনোনয়ন জমা দেন তিনজন। তারা হলেন মীর হেলাল উদ্দিন, আহসান ইকবাল চৌধুরী আবীর এবং আসিফ আকবর। গত বুধবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিনে মীর হেলার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে চট্টগ্রাম বিভাগের দুটি পরিচালক পদের জন্য প্রার্থী দাড়ায় দুজন। ফলে তাদের আর নির্বাচনের দরকার পড়ছেনা।
গতকাল দৈনিক আজাদীকে আহসান ইকবাল বলেন আমি সত্যিই অভিভুত। কারন আমারতো এই পদে যাওয়ার কথা ছিলনা। তারপরও যা হয়েছে তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে চট্টগ্রামের সংগঠকরা, ক্রিকেটাররা, সাবেক ক্রিকেটাররা সবাই সহযোগিতা করেছেন আমাকে। যদিও নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে পারলে তৃপ্তিটা আরো বেশি হতো। আর সেরকম প্রস্তুতিও ছিল বলে জানান তিনি। আগামী ৬ অক্টোবর আনুষ্টানিক ঘোষনা এলেও তার আগে থেকেই চট্টগ্রাম বিভাগের ক্রিকেটের উন্নয়নে নিজে থেকেই কিছু পরিকল্পনা প্রণয়ন করে রেখেছেন আহসান ইকবাল। যার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের যেসব জেলা অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে রয়েছে তাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ক্রিকেটের মান উন্নয়ন, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া সহ তাদের ক্রিকেটের অগ্রগতিতে কাজ করবেন। আর এসব কাজে তিনি বোর্ড থেকে সহায়তা পাবেন বলেও আশা করেন। যেহেতু ক্রিকেট বোর্ডে যাদের আসার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের সবার সাথে তার একটা বেশ ভাল সম্পর্ক রয়েছে তাই তার কাজ করতে কঠিন হবেনা বলেও মনে করেন আবীর। চট্টগ্রামে যেখানে নিয়মিত ক্রিকেট হয়, সেখানে এখন একেবারেই স্থিমিত। তাই চট্টগ্রামের ক্রিকেট লিগটা কিভাবে মাঠে নামানো যায় সে চেষ্টাই থাকবে বলেও জানান আবীর। তিনি বলেন আমরা যদি সাগরিকা স্টেডিয়ামটি নাও পাই তাহলে জেলা স্টেডিয়াম এবং তার নিজের যে মাঠ রয়েছে সেখানে নিয়ে গিয়ে হলেও লিগটা করতে চান। এছাড়া আরো কিছু খেলা যেগুলো বাকি রয়েছে সেগুলোও সম্পন্ন করতে চান। এজন্য তিনি সবাইকে সমন্বয় করেই কাজ করতে চান। তিনি বলেন ক্রিকেচ বোর্ডের দায়িত্ব যখন পেয়েছি তখন সেটা দক্ষতা এবং দায়িত্বশীলতার সাথে পালন করতে চান। আর এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন। আহসান ইকবাল চৌধুরী বলেন আসলে এই বয়সে এসে আর পাওয়ার কিছু নাই। এখন কিছু দিয়ে যেতে চাই।