মোহাম্মদ সিরাজ এবং জাসপ্রিত বুমরার চমৎকার বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্পতে গুটিয়ে ব্যাটিংয়ে ভারতকে ভালো শুরু এনে দেন লোকেশ রাহুল। আহমেদাবাদ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ক্যারিবিয়ানদের ১৬২ রানে গুটিয়ে দিয়েছে ভারত। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেটে ১২১ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। আর ৪১ রানে পিছিয়ে আছে তারা। ৬ চারে ৫৩ রান নিয়ে খেলছেন ওপেনার রাহুল। ক্রিজে তার সঙ্গী অধিনায়ক শুবমান গিল অপরাজিত ১৮ রানে। সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে ধস নামানো সিরাজ ৪০ রানে ধরেন ৪ শিকার। ৪২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন বুমরাহ। দুটি প্রাপ্তি বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদিপ যাদব। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে চতুর্থ ওভারেই ছোবল দেন সিরাজ। প্রায় দুই বছর পর টেস্ট খেলতে নামা তেজনারাইন চান্দারপলকে রানের খাতা খোলার আগে বিদায় করেন তিনি। জন ক্যাম্পবেলকে দুই অঙ্কে যেতে দেননি বুমরাহ। দুই ওপেনারই হন কট বিহাইন্ড। এরপর পরপর দুই ওভারে ব্র্যান্ডন কিং ও আলিক আথানেজকে ফিরিয়ে ক্যারিবীয়দের আরও চেপে ধরেন সিরাজ। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে কক্ষপথে ফেরানোর চেষ্টা চালান রোস্টন চেইস ও শেই হোপ। জমে উঠতে থাকে তাদের জুটি। যদিও জুটি লম্বা করতে পারেননি তারা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে হোপকে (৩ চারে ২৬) বোল্ড করে ৪৮ রানের যুগলবন্দী ভাঙেন ২০২৪ সালের অক্টোবরের পর টেস্ট খেলতে নামা কুলদিপ। দুই ওভার পর প্রতিপক্ষ অধিনায়ক চেইসকে (৪ চারে ২৪) কট বিহাইন্ড করে দেন সিরাজ। তখন দেড়শর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে জাস্টিন গ্রেভসের ৪টি চারে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩২ রানের সৌজন্যে ১৫০ স্পর্শ করে দলের রান। গ্রেভসের স্টাম্প ভাঙা বুমরাহ পরে জোহান লেইনকে বোল্ড করে ভারতের মাটিতে দ্রুততম ৫০ টেস্ট উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন।
জবাব দিতে নেমে ইয়াশাসভি জয়সওয়াল ও রাহুলের ব্যাটে ভালো শুরু পায় ভারত। তাদের জুটিতে রান পেরিয়ে যায় পঞ্চাশ। কিন্তু শরীরের খুব কাছের একটি বলে কাট করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন জয়সওয়াল। ৭ চারে ৩৬ রান করা ওপেনারের বিদায়ে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি। সাই সুদর্শন পারেননি টিকতে। চেইসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন তিনি কেবল ৭ রান করে। এরপর অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ১০১ বলে ফিফটিতে পা রাখেন রাহুল। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে রান বাড়াচ্ছেন গিলও।