বন্দরে নতুন অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত

৩১ অক্টোবর মধ্যে আবেদেন করার আহবান সেবা নিশ্চিত এমন উদ্যোগ বিদ্যামান বার্থ ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের তীব্র বিরোধিতা

হাসান আকবর | শুক্রবার , ৩ অক্টোবর, ২০২৫ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

বিদ্যমান বার্থ ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের পাশাপাশি নতুন করে অপারেটর নিয়োগের জন্য লাইসেন্স প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিদ্যমান বার্থ ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের তীব্র বিরোধিতার মুখে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, আগে দুই লাখ টন পণ্য হ্যান্ডলিংকালে যে সব স্টিভিডোর ছিল, এখন তের কোটি টন পণ্য হ্যান্ডলিং এবং ৩৩ লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের সময়ও সেই একই স্টিভিডোর থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই। তাই প্রতিযোগিতামূলক দরে বন্দরের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন অপারেটরের লাইসেন্স প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে বন্দর কর্তৃপক্ষ এই লাইসেন্স প্রদান করছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগ্রহী প্রতিষ্ঠানসমূহকে আগামী ৩১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। এতে বাংলাদেশের যে কোন বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য বা কন্টেনার লোড ও আনলোড করার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মচারী কর্মী নিয়োগ করে তার প্রমাণ দাখিল করতে হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা যাচাইয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ থাকার সমর্থনে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান হতে সনদ দাখিল করতে হবে, জাহাজ মালিক, শিপিং কোম্পানি, চার্টারার, সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কিংবা কাস্টমস অনুমোদিত শিপিং এজেন্ট আবেদনকারীর সাথে ব্যবসা পরিচালনার চুক্তি করতে সম্মত রয়েছেন এমন প্রমাণ দাখিল করতে হবে। এছাড়া শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেতন, ক্ষতিপূরণসহ অন্যান্য আর্থিক দায় পরিশোধের সক্ষমতার প্রমাণপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টসহ নাগরিকত্বের প্রমাণ, আয়কর পরিশোধ সনদ, ভ্যাট নিবন্ধন সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, শ্রমিকদের জন্য বীমা কভারেজের সনদ এবং সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতার সনদ। আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। লাইসেন্স আবেদনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুকুলে এক লাখ টাকার অফেরতযোগ্য পেঅর্ডার দাখিল করতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যথাযথ যাচাইবাছাইয়ের পরই লাইসেন্স প্রদান করা হবে। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে বন্দর কার্যক্রম আরও গতিশীল ও দক্ষতার সাথে পরিচালনা করার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে বার্থ অপারেটর এবং শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর মিলে ৬০টির মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে উল্লেখ করে বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, নতুন করে বার্থ ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমে অনেক বেশি প্রতিযোগিতা এবং গতিশীলতা তৈরি করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধগ্রেপ্তার এড়াতে দুই যুগ আত্মগোপনে,অবশেষে ধরা