চন্দনাইশে আলোচিত সিএনজিচালিত টেক্সি ছিনতাই মামলার প্রধান আসামি সাইফুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে হাটহাজারী থানার আমানবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চন্দনাইশ থানা পুলিশ। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর টেক্সি ছিনতাইয়ের ঘটনায় চন্দনাইশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ ছিনতাইয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মো. রাসেল জানান, গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল ইসলাম আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তিনি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত এবং সমপ্রতি একাধিক টেক্সি ছিনতাই করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত সাইফুলকে গতকাল বুধবার আদালতে চালান দেয়া হয়। তিনি রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু থানার বগাচতর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড রাংগী পাড়া এলাকার আবদুল গণি প্রকাশ ওসমান গণি হেদায়েতুল্লাহর ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে যাত্রীবেশে দুই ছিনতাইকারী টেক্সিচালক মো. মিজানুর রহমানকে দোহাজারী বাজার থেকে ভাড়া করেন। ছিনতাইকারীরা মিজানুর রহমানকে বলেন তারা মিনি বান্দরবান খ্যাত খানহাট–ধোপাছড়ি–বান্দরবান সড়কে ঘুরতে যাবেন। ৯০০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে ওই দুই ব্যক্তিকে নিয়ে মিজানুর রহমান খানহাট–ধোপাছড়ি–বান্দরবান সড়কে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ওই সড়কের ৩ নম্বর ব্রিজের পরে ইটের রাস্তা দিয়ে কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ লট এলাহাবাদ এলাকায় গহীন পাহাড়ের ভিতরে যায়। সেখানে গাড়ি থামানোর পর ওই স্থানে আগে থেকে লুকিয়ে থাকা ছিনতাইকারী দলের আরো দুই সদস্য যোগ দেয়। এ সময় ৪ ছিনতাইকারী মিলে চালক মিজানকে মারধর করে গামছা দিয়ে হাত–পা ও মুখ বেঁধে গহীন জঙ্গলে ফেলে রাখে। একপর্যায়ে তারা টেক্সি চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, নগদ টাকা তার গাড়িটি নিয়ে সেখান থেকে দ্রুত চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে থানায় অজ্ঞাতনামা ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।