নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিমসহ ১৫ জন

বিসিবি নির্বাচনের উত্তাপ থেমে গেল

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ২ অক্টোবর, ২০২৫ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

আগের দিনই অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন তামিম ইকবাল। ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে সমঝোতা ব্যর্থ, বিতর্কিত ১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার হরণ, সব মিলিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তামিম। আর তার সাথে সরে দাঁড়িয়েছেন আরো ১৪ জন। যেখানে জেলা কোটার একজন এবং ক্যাটাগরী তিন এর একজন। গতকাল সকাল সোয়া ১০টার দিকে যখন মিরপুর শেরবাংলা স্টেডিয়ামে আসেন তামিম ইকবাল তখনই সম্ভাব্য চিত্র পরিষ্কার হয়ে যায়। পরে নিশ্চিত করে দিলে তিনি নিজেই। বিসিবির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না দেশের সাবেক এই অধিনায়ক। তামিম একাই নন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন আরও ১৪ জন। তারা হলেন রফিকুল ইসলাম বাবু, মাসুদুজ্জামান, সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ, মীর হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ বোরহান হোসেন পাপ্পু, ইস্রাফিল খসরু, সাব্বির আহমেদ রুবেল, তৌহিদ তারেক, আসিফ রাব্বানি, সিরাজুদ্দিন মোঃ আলমগীর, ইয়াসির আব্বাস, ফাহিম সিনহা, সাইফুল ইসলাম সপু, ওমর শরীফ মোঃ ইমরান।

মনোনয়ন প্রত্যাহারকারীদের একজন এক্সিওম ক্রিকেটার্সের কাউন্সিলর ইসরাফিল খসরু পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সরকারের একটি গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে তাদের এই সিদ্ধান্ত। বিসিবি নির্বাচনে নগ্ন হস্তক্ষেপ চলছে। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ এখানে নেই। স্বেচ্ছাচারিতা করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো নির্বাচন আমরা চাই না। সরকারের একটি গোষ্ঠী এখানে হস্তক্ষেপ করছে। আপাতত এটুুকুই বলতে পারি। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত বলব আমরা। কিছুদিন আগেই একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, সরকারের একটি অংশ বিসিবি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। গত শনিবার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, প্রবল চাপ অনুভব করছেন তিনি। আমার ওপরে অনেক চাপ আছে। কালকে আমার কাউন্সিলরশিপ বাতিলও হয়ে যেতে পারে। কেন হতে পারে, এটা আপনারা খুব ভালো করেই বোঝেন। ফেয়ার ইলেকশন কেন হবে না? আমাদের এই মুহূর্তে যে সরকার আছেন, এই সরকারের দায়িত্বের মধ্যে কি এটা নাই যে সংস্কার করতে হবে? সরকারের একটি অংশই যদি এভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে, তাহলে এটা কি একটা দারুণ উদাহরণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে? আমি কয়েক দিন আগে প্রেস কনফারেন্সে যা যা বলেছিলাম, আপনারা তাই দেখেছেন। উল্টাপাল্টা সব ঘটেছে। আমার একটা জিনিসই বলার, আমার পক্ষ হয়ে কারও কোনো কথা বলার দরকার নাই। সত্যিটার পক্ষে কথা বলুন। আমার বয়স হয়তো কম। কিন্তু আমি সিনিয়রদের (সংগঠক) থেকে শুনেছি, ক্রিকেট বোর্ডের ইতিহাসে কোনদিন এত নোংরামি তারা দেখেননি। যে জিনিসটা আপনারা করে যাচ্ছেন, করছেন, এটা কিন্তু একটা ইতিহাস হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতেও কিন্তু এই জিনিসগুলোই অনুসরণ করা হবে। কাজেই আমার বিনয়ী অনুরোধ, এই জিনিসগুলো আপনারা করবেন না। সৎভাবে নির্বাচন আয়োজন করুন। বিসিবি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারবেন কি না, এই শঙ্কা তখনই ছিল তার। আপনারা আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন যে আমি নির্বাচন করব কী করব না। আমার প্রশ্ন হলো যে, আমাকে নির্বাচন করতে দেবে কী দেবে না, এটাও তো দেখতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিসিবির জন্য একটি কালো দাগ হয়ে থাকবে এই নির্বাচন
পরবর্তী নিবন্ধকেকেআরসি এবং আম্বিয়া স্পোর্টস ফাইনালে