অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত
সুদীপ্ত
একবুক সাহস নিয়ে পথপাশে ফোটা পুষ্প
হস্তে দাঁড়িয়ে
আলোময়ী কন্যা সুপ্রভা কমলারঙা বিকেলে এসেছিল
সুদীপ্ত নীরব নিস্তব্ধতায় ফুল এগিয়ে দেয়
আলোবতী ‘সুপ্রভা’ নিষ্পাপ চাহনিতে ক্রন্দনরত
অবস্থায় ফুল হাতে নেয়নি
তবে মনে মনে ঠিকই প্রেমের সুর বেজেছিল!
সেদিন নিশ্চুপ দু‘জন হতাশার বালুচরে
হারিয়ে যায় প্রকম্পিত ধোঁয়াশার মতো,
দুটো মনের অস্থির যন্ত্রণা ধীরে ধীরে আবার
জোড়া শালিকের বেশে একত্রিত হতে থাকে,
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সুদীপ্ত তার প্রিয়া সুপ্রভাকে
নিজের করে পেতে চায়,
প্রণয়ের অপেক্ষায় থাকা কষ্টগুলো বিধাতা যেন
মিলিয়ে দিল সুন্দর এক সোনালি বিকেলে
কখনো শালিকের বেশে, কখনো বা পায়রার বেশে
কমলারঙা বিকেলে দুটো পাখি ঘুরেফিরে
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।