জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় ধাপে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কর্মসূচিগুলো হল ১–৯ অক্টোবর গণসংযোগ, ১০ অক্টোবর বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মগবাজারে আল–ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। লিখিত বক্তব্যে মিয়া গোলাম পারওয়ার বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, ভোটকেন্দ্র দখল, পেশিশক্তি প্রদর্শন ও ভোটের বিভিন্ন অনিয়ম ও অপতৎপরতা বন্ধ, কোয়ালিটি–সম্পন্ন পার্লামেন্ট এবং দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরিসহ প্রতিটি ভোট মূল্যায়নের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছি। বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্ট, লেখক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। খবর বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, জনগণের দাবিগুলো কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা দ্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমাদের পাঁচ দফা গণদাবি জনগণের কাছে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তাই দেশের জনগণ এ দাবির প্রতি ব্যাপক সমর্থন দিয়ে রাজপথের আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। বর্তমান সরকারের উচিত অবিলম্বে জনগণের দাবিগুলো মেনে নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা। সরকার যদি জনগণের যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করে এবং বিদ্যমান সমস্যার দ্রুত সমাধান না করে, তাহলে দেশের জনগণ তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য কঠোর হতে বাধ্য হবে। এ লক্ষ্যে আজ চলমান আন্দোলনকে আরও জোরদার করার জন্য নিচের কর্মসূচিগুলো ঘোষণা করছি: পাঁচ দফা গণদাবির পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে ০১ অক্টোবর থেকে ০৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে গণসংযোগ। এ উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা, গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার ইত্যাদি আয়োজন করা হবে। ১০ অক্টোবর রাজধানীসহ সব বিভাগীয় শহরে গণমিছিল। ১২ অক্টোবর সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ।
নতুন লোগো : এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর সংবাদমাধ্যমে দুদিন ধরে নানা আলোচনার পর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বীকার করলেন, দলের লোগো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের লোগোটা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এটা ঠিক। একটা নতুন লোগো আমরা তৈরি করছি। তিন–চারটা লোগো ডিজাইন নিয়ে আমাদের মধ্যে অলরেডি একটা আলোচনা হয়েছে। কিছু কিছু লোগোকে আমরা এডিট করে একটা চূড়ান্ত জায়গায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে, আমাদের ডিসিশন মেকিং ফোরাম আছে, অ্যাপেঙ বডি আছে, সেখানেই এই লোগোটা চূড়ান্ত হবে। চূড়ান্ত হলে তা আমরা আপনাদেরকে জানাব।
কেন লোগো পরিবর্তন করা হচ্ছে–এ প্রশ্নের জবাবে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পরিবর্তন একটা সংগঠনের থাকতেই পারে। সেটা যখন চূড়ান্ত লোগো অফিশিয়ালি ঘোষণা করব, তখন তার ব্যাখ্যা আমরা দেব।