চট্টগ্রাম ফ্রাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আম্বিয়া স্পোর্টস এবং টুয়েন্টি ইভেন্টজ গ্রুপ। গতকাল চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে টুয়েন্টি ইভেন্টজ গ্রুপ ৫ উইকেটে চট্টগ্রাম হার্বিঙ্গার্সকে পরাজিত করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আম্বিয়া স্পোর্টস ৬৮ রানের বড় ব্যবধানে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে পরাজিত করে শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে। এর আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল কেকেআরসি এবং এনএইচটি স্পোর্টস। গতকাল প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় টুয়েন্টি ইভেন্টজ গ্রুপ এবং চট্টগ্রাম হার্বিঙ্গার্স। এই ম্যাচটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ম্যাচে যে দল জিতবে তারাই যাবে সেমিফাইনালে। শেষ পর্যন্ত সে ম্যাচে জিতেছে টুয়েন্টি ইভেন্টজ গ্রুপ। টসে জিতে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম হার্বিঙ্গার্স। কিন্তু শুরুটা ভাল হয়নি তাদের। ১৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। এরপর দলের টপ অর্ডার ব্যাটাররা কেউ দলকে টানতে পারেনি। ছয় নাম্বারে নামা কাজি কামরুল এবং আট নাম্বারে নামা সজিবুল আলম দলের রান ১২২ এ পৌছে দেয়। সজিবুল আলম দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। কাজি কামরুল করেন ২৬ রান। এছাড়া ইফতি ১৪ এবং নাজিম করেন ১১ রান। টুয়েন্টি ইভেন্টজ গ্রুপের শাহাদাত হোসেন এবং তানভীর সাদাত নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নামা টুয়েন্টি ইভেন্টজ গ্রুপ ২৮ রানে হারায় প্রথম উইকেট। ৩৬ রানে যেতে তিন উইকেট হারিয়ে বসে টুয়েন্টি ইভেন্টজ। শেষ পর্যন্ত তাজুল এবং সাদমানের অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রানের জুটির উপর ভর করে একবল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টুয়েন্টি ইভেন্টজ। ৪৩ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন তাজুল। আর ১৯ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন সাদমান। চট্টগ্রাম হার্বিঙ্গার্স এর পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন মিনহাজ সাকিব। বিজয়ী দলের সাদমান বিন খালেদ ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য ফজলে আরিয়ান। দিনের অপর ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা আম্বিয়া স্পোর্টস দুর্দান্ত শুরু করে। দুই ওপেনার মুনতাসির এবং সাব্বির ১৩৮ রান তুলে ফেলে ৮৪ বলে। ৪৭ বলে ১০টি চার এবং ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৮৯ রান করে ফিরেন মুনতাসির। দুই রান পর ফিরেন আরেক ওপেনার সাব্বিরও। ৩৯ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। এরপর বাপ্পার ১২ বলে ২৮ এবং সায়মনের ৭ বলে ১৬ রানের উপর ভর করে ১৯৫ রান সংগ্রহ করে আম্বিয়া স্পোর্টস। যা এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। জবাবে ব্যাট করতে নামা ব্রাদার্স ইউনিয়নের শুরুটাও ছিল ঝড়ো গতির। কপিল এবং ইফতেখার মিলে ২৩ বলে তুলে নেন ৪৯ রান। কিন্তু তিন বলের ব্যবধানে ফিরেন দুজন। কপিল ১৫ বলে ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ এবং ইফতেখার করেন ১৪ রান। তৃতীয় উইকেটে ওমর হাসান এবং আবদুল্লা হানিফ মিলে যোগ করেন ৪১ রান। এজুটি ভাঙ্গার পর আর রানের সাথে তাল মেলাতে পারেনি ব্রাদার্সের বাকি ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ১২২ রানে থামে তাদের ইনিংস। ওমর হাসান ১৪ এবং আবদুল্লা হানিফ করেন ৩১ রান। আম্বিয়া স্পোর্টসের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শহীদুল এবং মুনতাসির। বিজয়ী দলের মুনতাসির ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিজেকেএস কাউন্সিলর মোহাম্মদ শাহজাহান।












