জমজমাট লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের পর্দা নেমেছে। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ভারত। টুর্নামেন্টের সেরাদের তালিকায়ও আধিপত্য রয়েছে ভারতের। ব্যাটে–বলে দাপট দেখিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা। আসরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে খেলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন ভারতের অভিষেক শর্মা। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৩২ চার ও ১৯টি ছক্কায় ৩১৪ রান করেছেন তিনি। এই তরুণ খেলোয়াড় হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরাও। অভিষেকের সবচেয়ে কাছাকাছি যেতে পেরেছেন পাথুম নিসাঙ্কা। সুপার ফোর পর্যন্ত খেলা ৬ ম্যাচে ১৬০.১২ স্ট্রাইক রেটে ২৬১ রান করেছেন নিসাঙ্কা। আসরের একমাত্র সেঞ্চুরিটি এসেছে তার ব্যাট থেকে। টুর্নামেন্টের তৃতীয় সেরা রান সংগ্রাহক সাহিবজাদা ফারহান। ফাইনাল ম্যাচে মাত্র ৩৭ বলে খেলেছিলেন ৫৮ রানের ইনিংস। এর আগে সুপার ফোরের ম্যাচেও ভারতের বিপক্ষে ফিফটি করেন তিনি। সব মিলিয়ে ৭ ইনিংসে পাকিস্তানি ওপেনারের করেছেন ২১৭ রান, স্ট্রাইক রেট ১১৬.০৪। ফারহানের পর আছেন তিলক ভার্মা। শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে ৫৩ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ফাইনাল সেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। টুর্নামেন্টে ৭১ গড়ে ২১৩ রান করেন এই ব্যাটার। সেরা পাঁচের সর্বশেষ নামটি পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামানের। ৭ ম্যাচ খেলে ১৮১ রান করেছেন এই ব্যাটার। এবার বল হাতে এশিয়া কাপের শীর্ষ পাঁচে যারা তাদের মধ্যে আছেন এক বাংলাদেশিও। শিরোপাজয়ী ভারতের একজন বোলার হয়েছেন শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক। তবে সেরা পাঁচে আধিপত্য পাকিস্তানিদেরই। এছাড়া আছেন এক বাংলাদেশিও। বোলিংয়ে সবার সেরা ভারতের চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব। ভারতের হয়ে ৭ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই চায়নাম্যান বোলার ওভারপ্রতি মাত্র ৬.২৭ করে রান খরচ করেছেন। বোলিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ৭ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা ও সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা বোলার তিনি। টুর্নামেন্টে ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ৬.৬০ করে। তৃতীয় অবস্থানে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেসার জুনায়েদ সিদ্দিকী। সুপার ফোরে খেলতে না পারলেও মাত্র ৩ ম্যাচেই ৯ উইকেট নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী পেসার। এই তালিকায় পরের নামটা বাংলাদেশি তারকা মোস্তাফিজুর রহমানের। বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা দ্য ফিজের ৬ ম্যাচে উইকেট সংখ্যা ৯টি। ফাইনালে বাজে বোলিং করলেও হারিস রউফ আছেন সেরা পাঁচে।












