আরাফাতের ময়দানে বিদায় হজ্বের ভাষণে নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলিল আজ হইতে জাহিলিয়াতের যুগ শেষ হইল। আজও কান পাতিয়া নবী মুহাম্মদ (সা.) এর সেই বাণী শুনিতে পাই মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নাই। দিনের কর্ম শেষে তুমি যাহা পাও না পাও, তুমি যা খাও অধীনস্থদের তাহাই খাওয়াও। মুসলমান মুসলমান পরস্পর ভাই–ভাই একই সত্তা ু ভাইয়ের বুকে মেরো না চাকু করো না হত্যা। আমাদের জন্যে অমর বাণী রেখে গেছেন নবী মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজ্বের মারফত, এক মুসলমান ভাইয়ের হাতে অন্য মুসলমান ভাই থাকিবে নিরাপদ। হাদিস কোরআন থেকে যতটুকু শুনেছি পড়েছি করেছি ক্ষুদ্র জ্ঞান লাভ আছে যত গুনাহ পাপ অভিশাপ তওবা করে আল্লাহর কাছে ফিরে গেলে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন‘র কাছে ক্ষমা মেলে। গুনা পাপ যত বড় মনে কর তিল বা তাল – আল্লাহর ক্ষমা তার চাইতেও অনেক মস্ত বড় বিশাল –সকল হতাশার পরে ফিরে গেলে আল্লাহর ঘরে করিলে তওবা অনুতাপ –আল্লাহ রহমানুর রাহিম তিনি করে দিবে মাফ। কাঁদো বান্দা কাঁদো তওবা কর ধর সত্যের পথ, মিথ্যার পথ ছাড়। বিচারপতি করো ন্যায় বিচার করো নাকো অবিচার –যৌবন তোমার আল্লাহর নিয়ামত কারো সাথে করোনা ব্যভিচার। করেছি যত গুনাহ পাপ আল্লাহর দিকে ফিরে এসে আজ তওবা করে যাই– সেই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নাই। মহান আল্লাহ আপনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী– বারে বারে তওবা করিতেছি আপনার কাছে, মোরা পাপী– পাপের অনুশোচনায় মোরা হয়েছি কাতর– দয়া করুন, ক্ষমা করুন, পবিত্র করুন আমাদের সকলের অন্তর।