দুর্গাপূজার সপ্তমী আর অষ্টমীতে আবহাওয়া শুস্ক থাকলেও নবমী এবং দশমীতে বৃষ্টি হানা দিতে পারে বলে আভাস মিলেছে। আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির রোববার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর তুলনামূলকভাবে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তারপর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। তিনি বলেন, বৃষ্টির মৌসুম প্রায় শেষ। শেষ সময়ে যেটা হয়, বৃষ্টি হয়, বজ্রপাত হয়। আমরা ধারণা করছি, ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত গোটা দেশেই কম–বেশি বৃষ্টি হবে। তবে রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং উপকূলীয় অঞ্চল খুলনা, চট্টগ্রাম বৃষ্টিপাত তুলনামূলক বেশি হবে। খবর বিডিনিউজের।
তরিফুল নেওয়াজ বলেন, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের পরেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে সারাদেশে। তবে নবমী–দশমীতে বৃষ্টি পাবেন।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে ১ অক্টোবরের দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেটি আরও ঘনীভূত হতে পারে কিনা জানতে চাইলে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, সবশেষ যে লঘুচাপগুলো হয়েছে, অধিকাংশই উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং অন্ধ্র, উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল দিয়ে অতিক্রম করেছে। এটারও সম্ভাবনা তাই। এটা আগামীকাল রাতে বা তার পরবর্তী সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরে শক্তি সঞ্চয় করে পশ্চিমবঙ্গ বা উড়িষ্যা উপকূল দিয়ে স্থলে (স্থলচাপ) উঠে যাবে। এটার প্রভাবেই আমাদের উপকূলীয় এলাকায় এবং বাকি সিস্টেমের কারণে উপরের দিকে বৃষ্টিপাতটা বাড়বে একটু।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।