প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে ‘ইপসা’ শিখা প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা গত ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ব্র্যাক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, গণপরিবহন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং কমিউনিটিতে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা, যৌন হয়রানি ও বুলিং প্রতিরোধ ও প্রতিকারে টেকসই ব্যবস্থা তৈরি করা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক এস এম নছরুল কদির।
সভায় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে প্রকল্পের একটি বর্ণনা দেওয়া হয় এবং এই প্রকল্প কীভাবে লিঙ্গবৈষম্য নিরসনে গুণগত পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে সে–সম্পর্কে একটি ধারণা প্রদান করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে সচেতনতা, প্রতিরোধ ও সহায়তা কাঠামো শক্তিশালী করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। প্রধান অতিথি বলেন, আপনারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে যে–কাজ করবেন, সেখানে আপনাদের নিজেদের উদ্যোগের পাশাপাশি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের লিঙ্গবৈষম্য এবং যৌন হয়রানি নিরসনে যে–কমিটি ও কার্যক্রম রয়েছে সেগুলোর সহযোগিতা নিবেন। এই প্রশিক্ষণ হয়ে গেলে তাদের মাধ্যমে আরো অনেকে এটা সম্পর্কে জানবে, যা প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে আনতে বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহের নিগার। তিনি প্রকল্পটি যুগোপযোগী বলে অবহিত করেন। উপস্থিত ছিলেন চবি অধ্যাপক সৈয়দা হালিমা বেগম, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, আইন অনুষদের সহকারী ডিন তানজিনা আলম চৌধুরী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহকারী ডিন ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী, প্রক্টর মোহাম্মদ সোলাইমান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম, অধ্যাপক গাজী শাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক জুলিয়া পারভীন, অ্যাড.আফরোজা মেহনাজ, অধ্যাপক উম্মে সালমা, অধ্যাপক আবিদা নাজিয়া, অধ্যাপক তন্বী ধুম ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার নাসরিন আক্তার। এছাড়া ইপসা’র মিল অফিসার মোরশেদ হাসান মোল্লা, শিখা প্রজেক্টের ম্যানেজার তুষার কুমার রায়, প্রজেক্ট অফিসার মো. রাশেদ, অ্যাসোসিয়েট ফিল্ড অফিসার মিশকাত হোসাইন ও রাশেদুজ্জামান ভুঁইয়া। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।