বিসিবির তহবিলে আছে ১৪০০ কোটি টাকা এছাড়া পাওনা আরও প্রায় ৪০ কোটি টাকা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ

বিসিবির কোষাগারে অর্থের পরিমাণ নিয়ে নানা সময় নানা অঙ্ক শোনা যায় নানা মাধ্যমে। এবার আনুষ্ঠানিক একটি সংখ্যা জানা গেল। বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব ছাড়তে যাচ্ছে ১৩৯৮ কোটি টাকা রেখে। এছাড়াও আরও প্রায় ৪০ কোটি টাকা পাওনা আছে বিভিন্ন পক্ষের কাছে। বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের শেষ সভা ছিল গত সোমবার। ২০২১ সালের বিসিবি নির্বাচনের পর দায়িত্ব পাওয়া এই পরিচালনা পর্ষদ তিনজন সভাপতি পেয়েছে। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আড়ালে চলে গিয়ে দায়িত্ব হারান টানা তিনবারের সভাপতি নাজমুল হাসান। তার জায়গায় দায়িত্বপাওয়া ফারুক আহমেদ সভাপতি পদে থাকতে পারেন মাত্র ৯ মাস। এরপর গত প্রায় চার মাস ধরে দেশের ক্রিকেটের প্রধান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সাবেক এই অধিনায়কের সভাপতিত্বেই শেষ সভাটি হয় সোমবার। যদিও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সভা শুরু হয় শেষ পর্যন্ত রাত ৯টায়, যা গড়ায় মধ্যরাত পর্যন্ত। বিসিবি নির্বাচনের কাউন্সিলর অনুমোদনকে ঘিরে জটিল পরিস্থিতিকে ঘিরেই মূলত সভা দীর্ঘতর হয়েছে এবং এই মুহূর্তে দেশের ক্রিকেটে মূল আলোচনা সেটিই। তবে সভা শেষে মধ্যরাতে সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের আর্থিক অবস্থার হালনাগাদ তথ্য জানান বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান। ১৩৯৮ কোটি টাকা আমরা রেখে যাচ্ছি। এছাড়া এফডিআর, ইন হ্যানড ক্যাশ, ক্যাশ ইন ব্যাংক, সবকিছুসহ এই প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা রেখে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের অনাদায়ী অর্থ আছে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ কোটি। বিপিএল নিয়েও কিছুটা আলোচনা হয় এ দিনের সভায়। ডিসেম্বরজানুয়ারিতে আগামী বিপিএল হওয়ার কথা থাকলেও বিসিবি নির্বাচনের ব্যস্ততায় এই টুর্নামেন্টের অনেক প্রক্রিয়াই থমকে আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করার ব্যাপারটিই কিছুই নিশ্চিত হয়নি এখনও। সামনের সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন ঘিরেও অনেক হিসাবের পালা আছে। তাই ডিসেম্বরে বিপিএল হওয়া নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা আছে। ইফতেখার অবশ্য বললেন, তারা এখনও ওই সময়টাতেই চোখ রাখছেন। তবে দায়িত্বটি পরবর্তী বোর্ডের। আমরা টার্গেট করছি, ডিসেম্বরজানুয়ারিতে বিপিএল হবে। এখানে অনেক কাজ আছে, সেটা পরের বোর্ডের ওপর বর্তাবে। কারণ এটা ছিল আমাদের শেষ বোর্ড সভা। তবে সবকিছু প্রস্তুত করা শুরু হয়ে গেছে। পরের বোর্ড এসে সিদ্ধান্ত নেবে। টার্গেটিং টাইম আমরা করে দিয়েছি ডিসেম্বরজানুয়ারি। কিছু কাজ এগিয়ে রেখে আমরা যাচ্ছি। ইফতেখার জানান, বিপিএলের প্রথম আসর থেকে গত আসর পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিসহ সব মিলিয়ে মোট ১৮টি পক্ষের কাছে তাদের অর্থ পাওনা, যা নিয়ে আরবিট্রেশন চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকিংবদন্তি আম্পায়ার ডিকি বার্ডের চিরবিদায়
পরবর্তী নিবন্ধভারত ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল