রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে মো. রহমত উল্লাহ (৪৮) নামে এক দিনমজুরকে খুনের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ছেলে মো. তৌসিফ বাদী হয়ে প্রতিবেশী ৫ জনকে বিবাদী করে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
পরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আশরাফ আলীকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সিকদারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ রেজাউলের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহত রহমত উল্লাহর ছেলে মো. হাসানের সাথে প্রতিবেশী জাকির আহাম্মদের ছেলে ইব্রাহিমের ইট ভাঙার ২০০ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এই নিয়ে দুই পরিবার কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন রহমত। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আশরাফ আলী (২৮), ছমদ আলী (২৩), জাকির আহাম্মদ (৩৫), আয়েশা খাতুন (৫৫) এবং রিকু আক্তারকে (৩০) আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠিসোটা নিয়া ভিকটিম মো. রহমত উল্লাহর সাথে মারমুখী আচরণ করে। একইদইন রাত সাড়ে ৭টার দিকে পুনঃরায় ৪ নং আসামি আয়েশা খাতুন ভিকটিমের বসতবাড়ির সামনে এসে তার স্ত্রী রুজি আক্তারকে লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ভিকটিম রহমত উল্লাহ ঘর থেকে বের হলে ১ নং বিবাদী আশরাফ আলী তার হাতে থাকা ধারালো চাকু ভিকটিমের পেটের বাম পাশে ঢুকিয়ে দেয়। ভিকটম গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ২ নং আসামি ছমদ আলী এবং ৩ নং আসামি জাকির আহাম্মদ তাদের হাতে থাকা লাঠিসোটা দিয়া ভিকটিম মো. রহমত উল্লাহকে মারধর করে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রহমত উল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, ঘটনার পরপরই বিশেষ অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ১ নং আসামি আশরাফ আলীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোদালা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদেরও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।