পদ্মার তেল পাইপলাইনে যাবে শাহ আমানত বিমানবন্দরে

গুপ্তখাল ডিপো থেকে ৬ কিমি পাইপলাইন স্থাপন, প্রকল্প উদ্বোধন খরচ ও সিস্টেম লস কমবে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৮:০৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীর পতেঙ্গার গুপ্তখাল প্রধান ডিপো থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বিমানের জ্বালানি তেল পরিবাহিত হবে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। পদ্মা অয়েল কোম্পানির প্রধান ডিপো থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের মাধ্যমে সরাসরি তেল পরিবহন শুরু হয়েছে। এতে বছরে প্রায় ৬৫ হাজার টন জেট ফুয়েল পরিবাহিত হবে। এর ফলে খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি জ্বালানি পরিবহনের সিস্টেম লসও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। গতকাল মঙ্গলবার পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন উদ্বোধন করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের প্রয়োজনীয় জেট ফুয়েল সরবরাহ করে পদ্মা অয়েল কোম্পানি। কোম্পানির গুপ্তখাল প্রধান ডিপো থেকে ট্যাংক লরির মাধ্যমে ৮ কিলোমিটার দূরের বিমানবন্দরে তেল পরিবহন করা হয়। শাহ আমানত বিমানবন্দরে প্রতিদিন ২ লাখ ২৫ হাজার লিটারের মতো জেট ফুয়েলের চাহিদা রয়েছে, যা বছরে প্রায় ৬৫ হাজার টন। ট্যাংক লরিতে এ জ্বালানি পরিবহনে খরচ হতো বছরে ৮ কোটি টাকা। এতে সময় ব্যয়ের পাশাপাশি সিস্টেম লসে বেশ ক্ষতি হতো।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অত্যাধুনিক সিস্টেমে জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘প্রধান স্থাপনা (এমআই) হতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত জেট এ১ পাইপলাইন, চট্টগ্রাম’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও সময়সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে উড়োজাহাজে জ্বালানি তেল সরবরাহের লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় গুপ্তখাল থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ৫ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়। ৮ ইঞ্চি ব্যাসের অভ্যন্তরীণ ইপঙি কোট ও বাহ্যিক থ্রি এলপিই কোট সম্বলিত ন্যূনতম দেড় মিটার আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপলাইনে ঘণ্টায় ১৪০ ঘনমিটার জ্বালানি পরিবহন শুরু হয়েছে। ৩০ বছর মেয়াদি এ প্রকল্প স্ক্যাডা পরিচালিত কনট্রোল ও অটোমেশন সিস্টেমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।

গতকাল সকালে পতেঙ্গায় প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমিন উল আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (অপা. ও পরি.) . একেএম আজাদুর রহমান এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর। বক্তব্য দেন পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী অমিত কুমার বড়ুয়া। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি আবদুর রাজ্জাক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় বাড়ি ফেরার পথে রাজমিস্ত্রীকে জবাই করে হত্যা
পরবর্তী নিবন্ধ৩ দিন পেছাল চাকসু নির্বাচন