আবুধাবিতে এশিয়া কাপের জয় উদযাপনের মুহূর্তেই শ্রীলঙ্কার তরুণ অলরাউন্ডার দুনিথ ভেল্লালাগে পেলেন জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ সংবাদ। ম্যাচ শেষে জানা যায়, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তার বাবা সুরঙ্গা ভেল্লালাগে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে খেলার সময় বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। খেলা শেষে এক ফাঁকে খবরটি জানানো হয় ভেল্লালাগেকে। মুহূর্তেই ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর দ্রুতই লঙ্কান টিম ম্যানেজার মাহিন্দা হালাঙ্গোদাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে রওনা দেন এ তরুণ ক্রিকেটার। ওই ম্যাচে মাহিশ থিকসানার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পান ভেল্লালাগে। শুরুতে তিন ওভারে ভালো বোলিং করলেও শেষ ওভারেই সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়। তার করা ইনিংসের শেষ ওভারে আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী একাই নেন ৩১ রান। ওভার থেকে আসে ৩২। সাবেক ক্রিকেটার সুরঙ্গা ছেলেকে ক্রিকেটে গড়ে তুলেছিলেন শৈশব থেকেই। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লাসিথ মালিঙ্গা, বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস ও আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। লিটন দাস শোক প্রকাশ করে জানান, মাথা উঁচু করে থেকো দুনিথ। তোমার বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, এ সংবাদে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সর্বশক্তিমান যেন তাকে চিরশান্তি দান করেন এবং তোমাদের পরিবারকে শক্তি দেন। পুরো ক্রিকেট বিশ্ব তোমার পাশে আছে। নবীও সামাজিক মাধ্যমে জানান, ভাই দুনিথ, তোমার বাবার মৃত্যুতে গভীর শোক জানাই। শক্ত থেকো।
সাবেক ক্রিকেটার রাসেল আর্নল্ড সরাসরি সমপ্রচারে আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, সুরঙ্গা নিজেও আমাদের সময়ে স্কুল ক্রিকেটে দারুণ খেলোয়াড় ছিলেন। আমি যখন সেন্ট পিটার্স কলেজের অধিনায়ক তখন তিনি প্রিন্স অব ওয়েলস কলেজের নেতৃত্ব দিতেন। খবরটি ভীষণ দুঃখজনক। আশা করি দল তার পাশে দাঁড়াবে। আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচটি শেষ হওয়ার পরই নিজ দেশ শ্রীলঙ্কায় চলে যান ওয়াল্লাগে। লক্ষ্য বাবার প্রিয় মুখখানা শেষবারের মতো দেখা ও শেষ বিদায় জানানো। এই শোকাবহ পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচগুলো খেলাও অনিশ্চিত ওয়াল্লাগের। খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা তিনটি ম্যাচ খেলবে। আজ ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে, ২৩ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে লঙ্কানদের।