রাঙামাটি সদর উপজেলার ভেদভেদীতে বন বিভাগের নার্সারিতে অবস্থিত বৈলাম বৃক্ষটিকে ‘স্মারক বৃক্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পারভেজ চৌধুরীর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ২৩ (১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কোতোয়ালি থানাধীন রাঙ্গাপানি মৌজার বৈলাম বৃক্ষটি সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ হতে ‘স্মারক বৃক্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করা হলো। প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, বৈলাম গাছটির আনুমানিক বয়স ৪২ বছর। বেড় ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি, উচ্চতা প্রায় ৮৫ ফুট। রাঙ্গাপানি মৌজার ১০২ নং জেএল অনুযায়ী দাগ নম্বর ১২৮২, ১২৮৩, ১২৮৪, ১২৮৫, ১২৮৬, ১২৮৭, ১২৮৮, ১৯৬৮, ১৯৬৯, ১৯৭০, ১৯৭১ ও ১৯৭২।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান আজাদীকে বলেন, ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের অধীন ভেদভেদী নার্সারি সমপ্রসারণ কেন্দ্রে অবস্থিত বৈলাম গাছটি সরকারি গেজেটে স্মারক বৃক্ষটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আগে থেকেই বৈলাম গাছটি সংরক্ষণ ও পরিচর্যা করে আসছি। বিপন্ন প্রজাতির এই বৈলাম বৃক্ষ থেকে আমরা ২০২৩ সালে অনেকগুলো চারা উৎপাদন করেছি এবং বিভিন্ন পর্যায়ে বিতরণও করেছি। কিন্তু প্রতি বছর ফল না হওয়ায় প্রত্যেক বছর চারা উৎপাদন করা যাচ্ছে না।
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর তফসিল ৪ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৫৫টি উদ্ভিদকে সংরক্ষিত বা রক্ষিত উদ্ভিদ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। আইন অনুযায়ী, এই ৫৫ প্রজাতির উদ্ভিদ ইচ্ছাকৃতভাবে ওঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা যাবে না। আইন অমান্য করলে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। সংরক্ষিত উদ্ভিদের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু বৃক্ষ বৈলাম।
উল্লেখ্য যে, গত ২৬ এপ্রিল দৈনিক আজাদীতে স্মারক বৃক্ষ হিসেবে ঘোষিত হওয়া বৈলাম বৃক্ষটি নিয়ে ‘অতি বিপন্ন বৈলাম বৃক্ষের টিকে থাকা’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।











