দেশে শেখ হাসিনার দুঃশাসনের কথা তুলে ধরে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, দেশে আর যেন কখনো ফ্যাসিবাদী শাসন ফিরে আসতে না পারে, জনগণ তা প্রত্যাশা করে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি এ কথা বলেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এ তিনি জবানবন্দি দেন। খবর বিডিনিউজের।
এ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। কমান্ড রেসপন্সিবিলিটির অভিযোগ আনা এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও অন্য দুই আসামি হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল–মামুন। এ মামলায় সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিন তিনি আদালতে হাজির ছিলেন। অপর দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চলছে।
এ মামলার ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে মাহমুদুর রহমান সোমবার ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দিতে গিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে সময় দমন–পীড়নের ঘটনায় জাতিসংঘের দেওয়া প্রতিবেদনের বরাতে তিনি বলেন, জুলাই–অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনা হত্যা ও লাশ গুম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সরাসরি নির্দেশে গণহত্যা চালানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের উপর ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটির’ দায় পড়ে।
মাহমুদুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ইটালি ও জার্মানিতে ফ্যাসিস্ট শাসক মুসোলিনি ও হিটলারের পতন হয়েছিল যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর। জার্মানিতে সেই সময় জনগণ বিশেষ করে, ইহুদি জনগোষ্ঠীর উপরে যে গণহত্যা চালানো হয়েছিল সেই প্রেক্ষাপটে সারাবিশ্বে আওয়াজ উঠেছিল ‘নেভার এগেইন’ অর্থাৎ আর যেন কখনও হিটলারের মতো নিষ্ঠুর ফ্যাসিস্ট শাসকের আগমন না ঘটে।
মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ না হওয়ায় তার জন্য বুধবার দিন রাখা হয়।












