এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় খেলায় টাইগাররা কোনো লড়াই করতে পারল না। খেলার ৩২ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে শ্রীলঙ্কার কাছে সহজ পরাজয় বরণ করেছে তারা। বাংলাদেশের ৫ উইকেটে করা ১৩৯ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা ৪ উইকেটে ১৪০ রান করে নেয়। শ্রীলঙ্কান ইনিংসে মোস্তাফিজের বলে দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে তুলে নিলেও আর বল হাতে কোনও প্রতিরোধই গড়া যায়নি। তারপর ম্যাচটা ছিনিয়ে নেয় কামিল মিশারা ও পাথুম নিসাঙ্কা জুটি। ৫২ বলে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৫ রান যোগ করে জয়ের ভিত গড়েন তারা। অবশ্য এই জুটি এতদূর আসার জন্য বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংও দায়ী। তিন রানে মিশারাকে জীবন দেন মেহেদী হাসান। সেই মিশারাই পাওয়ার প্লেতে ঝড়ো ব্যাটিং করেন। দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে ফিফটি পাওয়া নিসাঙ্কা যখন ফেরেন, তখনই দলের স্কোর ১০৮ রান। নিসাঙ্কাকে ৫০ রানে থামান মেহেদী। মেহেদী তার পর কুশল পেরেরাকেও (৯) ফিরিয়েছেন। শেষ দিকে তানজিম সাকিব শানাকাকে (১) দ্রুত ফেরালেও তখন জয়ের কাছে লঙ্কান দল। তারপর কামিল মিশারা ও চারিথ আসালাঙ্কা মিলে ১৪.৪ ওভারে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। জীবন পাওয়া মিশারা ৩২ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। আসালাঙ্কা ৪ বলে ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১০ রানে। বাংলাদেশের হয়ে ২৯ রানে দুটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান। একটি করে নেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটাতে শুরুতেই ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের টপ অর্ডার। লঙ্কানদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি তানজিদ তামিম–পারভেজ ইমনরা। তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে দারুণ লড়াই করেন লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। আবুধাবিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন শামিম হোসেন। এ ছাড়া ৪১ রান করেন জাকের আলি। নতুন বলে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন লঙ্কান পেসাররা। ইনিংসের প্রথম ১২ বলের সবকটির ডট! প্রথম ওভারের প্রথম পাঁচ বল ডট খেলার পর ষষ্ঠ বলে নুয়ান থুসারার দুর্দান্ত ইয়র্কারে স্টাম্প উপড়ে যায় তানজিদ তামিমের। ৬ বল খেলে ডাক খেয়ে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে দুশমন্থা চামিরাও দারুণ বোলিং করেন। চতুর্থ বলে অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে শট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন পারভেজ হোসেন ইমন। ৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
শূন্য রানে দুই উইকেট হারানোর পর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক লিটন দাস। তবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে রান আউটে পড়েন হৃদয়। ৯ বলে ৮ রান করেছেন তিনি। বিপর্যয়ের মুখে পাঁচে ব্যাট করতে আসেন শেখ মেহেদি। প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো শুরুর আভাস দিলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। হাসারাঙ্গার গুগলি পড়তে না পেরে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে ৭ বলে ৯ রান করেন মেহেদি। বাকিদের আসা–যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করার চেষ্টা করছিলেন লিটন। তবে দশম ওভারে হাসারাঙ্গাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে দেন। ২৬ বলে ২৮ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন জাকের ও শামিম। ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি গড়েন দুজনে। তাদের কল্যাণেই লড়াকু পুঁজি পায় দল। শামিম ৩৪ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন। সমান সংখ্যক বল খেলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। বাংলাদেশ তাদের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটায়।
        











