চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৯ জন শিক্ষার্থী ৫২ ঘণ্টা অনশন শেষে অবশেষে উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন। ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে প্রক্টরিয়াল বড়ির পদত্যাগ ও সাত দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেছিলেন তারা। গতকাল শুক্রবার সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে উপাচার্যের হাতে শরবত পানের মাধ্যমে অনশন ভাঙেন তারা।
এদিন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আলোচনা করতে এবং তাদের দেখতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ৭ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য উপাচার্যকে বললে আগামীকাল রবিবার আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
অনশন ভাঙার পর বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী চবি শাখার সভাপতি জশদ জাকির বলেন, ভিসি স্যার জানিয়েছেন আমাদের দাবিগুলো সঠিক এবং তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবেন।
অনশন থেকে উঠা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর দপ্তর সম্পাদক নাঈম শাহ্ জান বলেন, উপাচার্য স্যার আমাদের এখানে এসেছিলেন এবং আমাদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন এবং আমাদের কথা দিয়েছেন–আগামী রবিবার আমাদেরকে নিয়ে বসবেন। তিনি আমাদের সবগুলো দাবি নিয়ে কাজ করছেন। আমাদের যে মূল দাবি প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ তিনি এটা নিয়েও কাজ করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। উনার সম্মতির জায়গা থেকে আমরা অনশন সমাপ্ত করেছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, আমরা রবিবারে বিকেল ৩টার সময় ছাত্রদেরকে সময় দিয়েছি। তারা তাদের দাবিগুলো আমাদের কাছে দিয়েছে। আমি প্রাথমিকভাবে তাদের সাথে কথা বলেছি। রবিবার আন্তরিকতার সহিত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
এর আগে, গতকাল জুমার নামাজের পর চবি মেডিকেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের দেখতে যান শিক্ষারকরা। গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বড়ি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের দাবিতে অনশন করেন তারা।











