বঙ্গোপসাগরে ডাকাত সন্দেহে একটি ফিশিং ট্রলারকে অপর একটি ফিশিং ট্রলার সজোরে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা ১৪ মাঝিমাল্লা টানা ৯ ঘণ্টা সাগরে ভাসমান অবস্থায় ছিল। পরে অন্য একটি ফিশিং ট্রলার তাদের দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে মহেশখালীর সোনাদিয়া সংলগ্ন পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ৮ বিঁয় (৮ বাম) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়া ফিশিং ট্রলারের মালিক মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের জালাল মিয়া বহদ্দার। তিনি জানান, তার ৫২ অশ্ব শক্তি সম্পন্ন এফ বি মায়ের দোয়া ফিশিং ট্রলারটি মাঝি আব্দুস সালামসহ ১৪ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। বুধবার রাত ১১টায় ডাকাতের বোট সন্দেহ করে চিকন জালের অপর একটি ট্রলার ধাক্কা দিয়ে তার ট্রলারটিকে মাঝিমাল্লাসহ সাগরে ডুবিয়ে দেয়। এ সময় ট্রলারটির তক্তা ভেঙে পানি ঢুকে পুরোপুরি ডুবে গেলে মাঝিমাল্লারা বয়া, টাংকি ও ফ্লুট নিয়ে জীবন বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে সাগরে ভাসতে থাকে। তারা দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা ভাসার পর পরদিন বৃহস্পতিবার দক্ষিণ হাতিয়ার অপর একটি ফিশিং ট্রলার তাদেরকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার জেলেদেরকে কক্সবাজারের একটি ট্রলারে তুলে দিলে গতকাল শুক্রবার ভোরে তারা কক্সবাজার ফিশারিঘাট পৌঁছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার মালিক আরো জানান, তিনি একজন ছোটখাটো ফিশিং ট্রলার ব্যবসায়ী। ধার দেনা করে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে একমাত্র মায়ের দোয়া নামক ট্রলারটি তৈরি করে সাগরে পাঠিয়েছিলেন। এমন অনাকাক্ষিত দুর্ঘটনায় ট্রলারটি হারিয়ে তিনি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের কাছে তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।











