জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। আবুধাবিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপে শুভ সূচনা করেছে লিটন দাশের দল। তাসকিন, তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেনের বোলিংয়ের পর লিটন এবং তাওহীদ হৃদয়ের দারুণ ব্যাটিং সহজ জয় পাইয়ে দেয় বাংলাদেশকে। বিশেষ করে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাশ। দারুণ হাফ সেঞ্চুরি করে দলের জয়ে রেখেছেন বড় ভূমিকা। হংকংয়ের ব্যাটাররা দেড়শর কাছাকাছি রান করলেও সেটাকে কঠিন লক্ষ্য হতে দেননি লিটন–হৃদয়রা। যদিও গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের আসল পরীক্ষা আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে– তবুও জয় দিয়ে শুরু করাটা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির।
টসে জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ অধিনায়ক। দ্বিতীয় ওভারেই হংকংয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাসকিন। দ্বিতীয় উইকেটে জিসান আলী এবং বাবর হায়াত মিলে যোগ করেন ২৩ রান। ১৪ রান করা বাবর হায়াতকে ফেরান তানজিম সাকিব। তৃতীয় উইকেটে জিসান এবং নিজাকাত খান মিলে যোগ করেন আরো ৪১ রান। ৩০ রান করা জিসান আলীকে ফেরান তানজিম। চতুর্থ উইকেটে নিজাকাত এবং ইয়াসিম মরতুজা মিলে যোগ করেন ৪৬ রান। ২৮ রান করা মরতুজা ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এরপর নিজাকাত লড়াই করে গেছেন একাই। মূলত তার ৪০ বলে ৪২ রানেন উপর ভর করে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে হংকং। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিব এবং রিশাদ হোসেন। জবাবে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুটা ভালো করলেও ২৪ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ১৪ বলে ১৯ রান করে ফিরেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেটেও বড় জুটি গড়তে পারেনি তানজিদ তামিম এবং লিটন দাশ। ১৪ রান করে ফিরেন তানজিদ। এরপর হাল ধরেন লিটন এবং তাওহীদ হৃদয়। অধিনায়ক লিটন দাশ তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি। নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণের পর দল যখন জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে তখন ফিরেন লিটন। ৩৯ বলে ৬টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ রান করে থামেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে লিটন এবং হৃদয় মিলে যোগ করেন ৯৫ রান। তবে ৩৬ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থেকে ১৪ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিয়ে ফিরেন তাওহিদ হৃদয়।











