দেশের উন্নয়নে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিকল্প নেই। আর বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করাসহ হুন্ডি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মিডিয়া পালন করতে পারে ব্যাপক ভূমিকা। আন্তর্জাতিক ফিনটেক কোম্পানি ও রেমিট্যান্স অ্যাপ না’লা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে মিডিয়ার ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন চবি মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। স্বাগত বক্তব্য দেন, না’লা বাংলাদেশ–এর হেড অব গ্রোথ মাহমুদুল হাসান, এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার আরিচ আহমেদ শাহ।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রবাসী আয়ের বড় একটি অংশ এখনো হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। হুন্ডি ও দুর্নীতি রোধে সকলকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে হবে। এজন্য গণমাধ্যমকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার আহ্বান করছি। বিভিন্ন দেশে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন। কিন্তু দিন দিন বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা কমছে, আর শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতের শ্রমিকরা তাদের জায়গা দখল করছে। আমাদের দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলো যদি শ্রমিকদের সমস্যাগুলো ঠিকভাবে খতিয়ে দেখত, তবে রেমিটেন্স প্রবাহ কমত না।
স্বাগত বক্তব্যে না’লা (NALA) বাংলাদেশ–এর হেড অব গ্রোথ মাহমুদুল হাসান বলেন, মিডিয়া হলো জনসচেতনতা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে শুধু প্রবাসীর পরিবারই নয়, গোটা দেশ উপকৃত হয়।
অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হলো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। প্রতিবছর কোটি কোটি ডলার দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয় এই রেমিট্যান্সের মাধ্যমে। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পরিবার ও সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। না’লার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে না’লা অ্যাপ ব্যবহার করে প্রবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে মোট ২১টি দেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারেন। ২০২১ সালে চালু হওয়া অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ৫ লাখেরও বেশি। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












