হাজার বছর আগে, মানুষ ছিল নগ্ন,
তবু ছিল না লোভ, না ছিল মিথ্যা,
ছিলো শুধু ক্ষুধা আর প্রকৃতির স্নিগ্ধতা।
আজ
আমরা কাপড়ে মোড়া সভ্যতার খোলসে,
তবুও চেতনায় নগ্ন, আত্মায় শূন্য,
চোখে আছে আলো, তবু অন্তরে অন্ধকার।
আমরা কি সত্যিই এগিয়েছি? নাকি
পিছনের দিকে ছুটছি এক অজানা গহ্বরে?
শব্দে শব্দে গড়ি ধর্ম,
তবু কর্মে ভাঙি প্রতিটি নৈতিক স্তম্ভ।
এক সময় লজ্জা ছিল শরীরের,
এখন লজ্জা লুকায় অন্তরে
চুরি, খুন, প্রবঞ্চনায় সেজে উঠেছে
আমাদের ‘উন্নত‘ মানবতা।
পৃথিবীর বাতাসে আজ বিষ,
তবু আমরা হাসি,
সেলফির ফ্রেমে বন্দী করে দেই
নকল সুখ আর সাজানো মুখ।
যদি সত্যিই শেষের শুরু হয়,
তবে তা কি প্রকৃতির প্রতিশোধ?
নাকি মানুষের নিজের হাতে রচিত
ধ্বংসের অনিবার্য পদচিহ্ন?
তবু যদি কেউ শোনে আত্মার ভাষা,
তাহলে এখনো সময় আছে ফিরে আসার।
পুনরায় শিখতে, কীভাবে নগ্ন নয়
মানুষ হওয়া যায়।
 
        
