শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে লালনগীতির জনপ্রিয় শিল্পী ফরিদা পারভীনকে। মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল বুধবার বিকালের দিকে তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বড় ছেলে ইমাম নিমেরী। তিনি বলেন, ‘আইসিইউতে ছিলেন, সেখান থেকে কেবিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হচ্ছিল। কিন্তু (বুধবার) সকাল থেকে শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’ খবর বিডিনিউজের।
ইউনির্ভাসেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ফরিদা পারভীনকে ভেন্টিলেটর মেশিনে দেওয়া হয়েছে, যেটাকে সাধারণত লাইফ সাপোর্ট বলা হয়। উনি নিজে থেকে শ্বাস নিতে পারছেন না। ৭ম পৃষ্ঠার ৬ষ্ঠ কলাম
রক্তে অঙিজেনের পরিমাণ কমে গেছে। ব্লাড প্রেসার পাওয়া যাচ্ছে না। তিনটা ঔষধ দেওয়ার পরও পাওয়া যাচ্ছে না। এটা কতক্ষণ চলবে তা বলা যাচ্ছে না। যদি উনার ব্লাড প্রেসার বাড়ে তাহলে হয়ত আশা করা যাবে। আর না বাড়লে হার্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যেটাকে হার্ট অ্যাটাক বলে। তখন আমাদের কিছু করার থাকবে না।’
৭১ বছর বয়সী ফরিদা পারভীনের অসুস্থতা দীর্ঘদিনের। কিডনি সমস্যা ও ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতা রয়েছে তার। কিডনি ডায়ালাইসিস চলছে নিয়মিত।
জুলাইয়ে ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মেডিকেল বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন। এরপর মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও ফরিদা পারভীনের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছিলেন।
সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। ২০০৮ সালে জাপান সরকারের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার পান তিনি। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন এ শিল্পী। সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।












