শাক্তপীঠ চন্দ্রনাথ

কাঞ্চনা চক্রবর্তী | সোমবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। সীতাকুণ্ড চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩৭ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে পূর্ব দিকে ৪ কিলোমিটার পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে সুউচ্চ চন্দ্রনাথ পাহাড় অবস্থিত। সীতাকুণ্ডের পূর্ব দিকে চন্দ্রনাথ পাহাড় আর পশ্চিমে সুবিশাল সমুদ্র। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির অন্যতম বিখ্যাত শাক্তপীঠ। এর উচ্চতা ৩১০ মিটার বা ১১৫২ ফুট প্রায়। এটি হিন্দু ধর্মের অন্যতম একটি পবিত্র তীর্থস্থান। এটি একটি জাগ্রত শিব মন্দির। প্রতি বছর ফাল্‌গুন মাসের (ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে) চতুর্দশী তিথিতে এখানে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী শিবচতুর্দশী মেলা। যার স্থিতিকাল থাকে মাসব্যাপী দোল পূর্ণিমা পর্যন্ত। এই মেলায় দেশবিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর মহাসমাবেশ ঘটে।

এই পাহাড়টি হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলীয় অংশ। মূলত এটি হিমালয়ের একটি বিচ্ছিন্ন অংশ। হিমালয়ের দক্ষিণ থেকে দক্ষিণপূর্ব দিক ঘুরে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যের মধ্য দিয়ে ফেনী নদী পার হয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। পাহাড়টি চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলীয় হিল রেঞ্জের সর্বোচ্চ চূড়া বা বিন্দু। অর্থাৎ চন্দ্রনাথ পাহাড় চট্টগ্রামে সবচেয়ে উঁচুস্থান। রাজবাড়ি টিলার উচ্চতা ৯০০ ফুট এবং সাজিঢালার উচ্চতা ৮০১ ফুট। ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত পাহাড়টির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার। পাহাড়টির পাদদেশে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক। এর সিঁড়ির সংখ্যা ২২০০ এর বেশি। এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব। এর পুরনো নাম ছিলো ‘সীতার কুণ্ড মন্দির’। নেপালের প্রাচীন পুঁথি গোলাপরাজ আলোক ‘ভামশাভালি’ থেকে জানা যায়, নেপালের ‘লিচ্ছবি’ রাজবংশের রাজা প্রচণ্ডদেবকে স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন মহাদেব। রাজা স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পৃথিবীর পাঁচ কোণে পাঁচটি শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এর মধ্যে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের শিব মন্দির একটি অন্যতম নিদর্শন। পাশাপাশি এখানে দুই পাহাড়ের শীর্ষস্থানে আছে দুটি মন্দির একটি বিরুপাক্ষ মন্দির ও অন্যটি চন্দ্রনাথ মন্দির। চন্দ্রনাথ মন্দিরের পাদদেশে আছে উল্টা পাতাল কালী মন্দির, ক্রমধেশ্বরী কালী মন্দির, শংকর মঠ ও মন্দির, ভোলানন্দ গিরি সেবাশ্রম, শনিঠাকুর বাড়ি, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষচারী সেবাশ্রম, শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, শম্ভুনাথ মন্দির, গয়াক্ষেত্র, জগন্নাথ মন্দির আরও আছে কাছারি বাড়ি, গিরিশধর্মশালা, বিবেকানন্দ স্মৃতিপঞ্চবটি, মহাশ্মশান ভবানী মন্দির, দোলচত্বর, অন্নপূর্ণা মন্দির সহ আরো অনেক সনাতনী স্থাপনা। চন্দ্রনাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে ব্যাসকুণ্ডের পশ্চিম পাশে এবং ভৈরব মন্দিরের বাম পাশে একটি বটবৃক্ষ আছে। এটি অক্ষয় বট নামে পরিচিত। এখানে রয়েছে সহস্রধারা ও সুপ্তধারা নামে দুটি জলপ্রপাত।

প্রাচীন উৎস ও পুরাণকথা থেকে চন্দ্রনাথ মন্দিরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায়, সত্যযুগে দক্ষযজ্ঞে সতীমাতা দেহত্যাগ করলে মহাদেব সতীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করেন। তখন শিবকে শান্ত করতে বিষ্ণুদেব সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর মৃতদেহ ছেদন করেছিলেন। এই মৃতদেহের একান্ন পীঠ ছেদন হয়েছিল। তার একটি অংশের মধ্যে সতীর বাম হস্ত বা দক্ষিণ হস্ত পড়েছিল এই সীতাকুণ্ডে। তাই এই মন্দিরের পুরনো নাম ছিল ‘সীতার কুণ্ড মন্দির’। আবার প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ ও ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীনকালে এখানে মহামুনি ভার্গব বসবাস করতেন। রাজা দশরথের পুত্র রামচন্দ্র তাঁর বনবাসের সময় এখানে এসেছিলেন। তাঁরা আসবেন জানতে পেরে তাঁদের স্নানের জন্য মহামুনি ভার্গব তিনটি কুণ্ড সৃষ্টি করেন এবং এখানে ভ্রমণকালে রামচন্দ্রের স্ত্রী সীতা এই কুণ্ডে স্নান করেন। এই কারণেই এখানকার নাম সীতাকুণ্ড বলে অনেকে ধারণা করেন।

ইতিহাস পর্যালোচনা থেকে জানা যায়, রাজমালা (ত্রিপুরার ইতিহাস) গ্রন্থে উল্লখ আছে, ৮০০ বছর পূর্বে গৌড়ের বিখ্যাত আদিশূরের বংশধর রাজা বিশ্বম্ভর সমুদ্রপথে চন্দ্রনাথে পৌঁছার চেষ্টা করেছিলেন। সেসময় ত্রিপুরার শাসক রাজা ধন মানিক্য এই মন্দির থেকে শিবের মূর্তি তাঁর রাজ্যে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। নিগম কল্পতরুতে কবি জয়দেবের চন্দনাথে কিছু সময়ের জন্য বসবাসের কথা উল্লেখ করেন।

মন্দির সৃষ্টি নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ আছে। এই মন্দিরটি আসলে প্রাচীনকালের একটি মন্দির। ১১ শতকের আগে এখানে একটি ছোট মন্দির নির্মিত হয়েছিল। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বহু সন্ন্যাসী ও তান্ত্রিক এখানে সাধনা করতে আসতেন। তীর্থ হিসেবে এর পরিচিতি ছিল কারণ পাহাড়ের উচ্চ চূড়ায় মন্দির পৌঁছানো ভক্তদের কাছে একটি কঠিন সাধনার বিষয়। চন্দ্রনাথ মন্দির সেই সময়ের বিখ্যাত তীর্থস্থান ছিল।

ঔপনিবেশিক আমল (১৬১৯ শতক) পর্তুগীজ, আরব ব্যবসায়ী এবং পরে ব্রিটিশ শাসকদের সময় চন্দ্রনাথ মন্দিরের নাম আরো ছড়িয়ে পড়ে। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থানের কারণে দূর সমুদ্র থেকেও মন্দির দেখা যেত। যা নাবিকদের কাছে এক ধরনের দিকনির্দেশনা ছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে এখানে কিছু সংস্কার হয় এবং শিব চতুর্দশী মেলায় স্থানীয় জমিদাররা বিশেষ ভক্তদের সহযোগিতা দিতেন। তৎকালীনকালের ভ্রমণকাহিনিতেও চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দিরের বর্ণনা পাওয়া যায়। বিংশ শতক থেকে স্বাধীনতা পরবর্তীকাল ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর চট্টগ্রাম অঞ্চলের বহু হিন্দু দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান তবুও চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চন্দ্রনাথ মন্দির একটি শক্তিশালী তীর্থস্থান হিসেবে টিকে থাকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মন্দিরও সীতাকুণ্ড এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযোজ্ঞ হয়েছিল, তবে স্থানীয় হিন্দুরা মন্দির রক্ষা করতে সচেষ্ট ছিলেন। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশেও চন্দ্রনাথ পাহাড়ে প্রতিবছর শিবচতুর্দশী মেলা কেন্দ্র করে লাখো লাখো ভক্তের সমাগম ঘটে। আধুনিক সময়ে সরকার ও স্থানীয় সনাতন সমপ্রদায় মিলে এর ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব ধরে রেখেছে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা তথ্য বাতায়ন থেকে জানা যায়, এই মন্দিরের চূড়ার আকৃতি মুঘল আমলের গম্বুজের মতো। দরজা ও খিলানও তাই। মুঘল আমলে এই পাহাড়ের অনেক মন্দির সংস্কার করা হয় বলে বলা আছে। বর্তমান মন্দিরটি টাইলসে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

চন্দ্রনাথ নামকরণ নিয়েও নানা মতানৈক্য আছে। ‘দেশ বিদেশে নাথ তীর্থ, মঠ ও মন্দির’ গ্রন্থে প্রফুল্ল কুমার দেবনাথ লিখেছেন, ‘চন্দ্রনাথ শৈব তীর্থ। সপ্তদশ শতাব্দীতে সীতাকুণ্ড ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় রাজা ছিলেন চন্দ্রেশ্বর নাথ। তাঁর নামে এই পাহাড়ের নাম হয় চন্দ্রনাথ। এখানে চন্দ্রেশ্বর নাথের কুল দেবতা ছিল শিব প্রতিষ্ঠিত। তাই পাহাড়ের নামে এই মন্দিরের নাম হয় চন্দ্রনাথ। তবে কৈলাস চন্দ্র সিং এর রাজমালায় বলা হয়েছে, চন্দ্রনাথের শিব মন্দিরটি ত্রিপুরার মহারাজা গোবিন্দ মানিকের প্রধান কীর্তি। এই গোবিন্দ মানিক্য কিন্তু সপ্তদশ শতকের রাজা। রাজমালাতে বলা আছে, ১৫০১ খ্রিষ্টাব্দে চন্দ্রনাথ পাহাড় থেকে কালী মূর্তি নিয়ে উদয়পুরে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির প্রতিষ্ঠিত করেন ত্রিপুরার রাজা ধন মানিক্য। প্রাচীন ত্রিপুরা পতিদের চন্দ্রবংশজ উল্লেখ করে রাজমালাতে আরো বলা হয়েছে, চন্দ্রনাথ তাঁদেরই অক্ষয় কীর্তি।

আবার নবম থেকে একাদশ শতাব্দীর মধ্যে বাঙ্গালা শাসনকারী চন্দ্র বংশের সঙ্গে চন্দ্রনাথের সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা ও প্রবল। ‘পাল সেন যুগের বংশানুচরিত’ গ্রন্থে দীনেশচন্দ্র সরকার লিখেছেন, ‘এই রাজ বংশের শেষ রাজা গোবিন্দচন্দ্র ছিলেন শৈব। সে সময়ে বিভিন্ন তাম্রশাসনের পাঠ বিশ্লেষণ করে ‘পূর্ববঙ্গের চন্দ্র রাজবংশ’ শীর্ষ প্রবন্ধে আহমেদ হাসান দানী লিখেছেন, ‘চন্দ্রদের রাজত্বকালে বঙ্গ ও সমতটে পাল রাজারা প্রবেশ করতে সক্ষম হননি।’ ‘এমন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী রাজবংশের সঙ্গে চন্দ্রনাথের সম্পর্ক থাকতেই পারে। তবে এই চন্দ্রনাথ মন্দির হচ্ছে স্বয়ম্ভুনাথ মন্দির। যা স্বয়ং (নিজেই) ভূ ( মাটি) থেকে উৎপত্তি। তাই এটির অপর নাম স্বয়ম্ভুনাথ মন্দির।

চন্দ্রনাথ মন্দিরের অগণিত সিঁড়িগুলি তৈরির পিছনেও রয়েছে অনেক ইতিহাস। বিপজ্জনক পথে প্রায় প্রাণ হাতে নিয়ে আরোহন করতে হতো। ঘটত অনেক দুর্ঘটনা। পরবর্তীকালে তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে সিঁড়ি প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছিলেন অসংখ্য সহৃদয় ব্যক্তি। প্রথম উদ্যোগটি নিয়েছিলেন ১২৭০ বঙ্গাব্দে অবিভক্ত চব্বিশ পরগনার গঙ্গারাম বিশ্বাস। তিনি তাঁর মাকে নিয়ে চন্দ্রনাথ ধামে এসেছিলেন। কিন্তু দুর্গম পথ দিয়ে তাঁর মা চন্দ্রনাথ ধামে পৌঁছাতে পারেননি। তিনি রেগে গিয়ে গঙ্গারামকে বলেছিলেন, পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছাবার জন্য সিঁড়ি তৈরি করে দিতে। মায়ের নির্দেশ মেনে ৭৮২টি সিঁড়ি বানিয়ে দিয়েছিলেন মাতৃভুক্ত গঙ্গারাম। কালের ছোবলে সিঁড়িগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ১৩২৯ বঙ্গাব্দে সিঁড়িগুলোর সংস্কার করেছিলেন ২৪ পরগনার জমিদার সূর্যকান্ত রায়চৌধুরী। এরপর শ্রী গোপাল চন্দ্র সাহা ও মধূসুদন সাহা নামের দুই সহোদর বিরুপাক্ষ মন্দির থেকে চন্দ্রনাথ মন্দির পর্যন্ত ১.৫ কিলোমিটার পথে সিঁড়ি নির্মাণ করে দেন। এছাড়াও অন্নদা রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও বসন্তকুমারী দেবীর নামেও রয়েছে কিছু সিঁড়ি। পরবর্তীকালে অসংখ্য মানুষ সিঁড়ি নির্মাণে অর্থ দান করেছিলেন। যার নিদর্শন সিঁড়ির গায়ে খোদাই করা আছে। সিঁড়ির ধাপগুলি প্রায় দেড় ফুট উঁচু হওয়াতে সিঁড়িপথে চন্দ্রনাথ মন্দিরে পৌঁছানো প্রচণ্ড কষ্টকর। মূল পাহাড়ি চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরটি চন্দ্রনাথ মন্দির এবং সর্বোচ্চ গিরিশৃঙ্গে অবস্থিত বিরুপাক্ষ মন্দির।

পরৈকোড়ার জমিদার নারায়ন লালা এই মন্দিরগুলির নির্মাতা। কিন্তু এই মতটি নিয়ে প্রচুর বিতর্ক আছে। পুরানের কথা ধরলে ও সময়কাল বিচার করলে, জমিদার নারায়ণ লালার সময়কালের বহু সহগ্রবছর আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল চন্দ্রনাথ মন্দির। তবে তিনি চন্দ্রনাথ মন্দিরও বিরুপাক্ষ মন্দিরের জল সরবরাহের খরচ নির্বাহে ৮০০ দ্রোন লাখেরাজ ভূমি দান করেছিলেন। ১৩২৫ বঙ্গাব্দে মন্দিরগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে রংপুরের ডিমলার রানি শ্রীমতি বৃন্দারানী চৌধুরানী বহু অর্থ ব্যয় করে মন্দিরগুলি সংস্কার করে দেন। এছাড়াও তিনি ১৩০৪ বঙ্গাব্দে চন্দ্রনাথ ও বিরূপাক্ষ মন্দিরের সিঁড়ি ও লৌহ সেতু নির্মাণ করেছেন এবং তাঁর স্বামী রাজা শ্রীজানকি বল্লভ সেনের নামে স্মৃতিফল দেন। মন্দির নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নে আরও অনেক ব্যক্তির অবদান রয়েছে। এর মধ্যে ত্রিপুরার রাজা শ্রী গোবিন্দ মানিক্য, সারোয়াতলী গ্রামের জমিদার শ্রীরাম সুন্দর সেন এবং ময়মনসিংহের জমিদার রাজেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী অন্যতম। এরপরেও মন্দিরগুলি প্রায় শ্রীহীন যাদের সংস্কার জরুরি।

চন্দ্রনাথ মন্দিরটি শুধুমাত্র একটি তীর্থস্থান নয়। প্রকৃতিপ্রেমী ও পর্যটকদের কাছে এটি দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্থানও বটে। এছাড়াও এটি ঐতিহাসিক ও সংস্কৃতির প্রতীক। জাতীয়ভাবে মন্দিরটির রক্ষণাবেক্ষণ সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।

লেখক : প্রাবন্ধিক; বিভাগীয় প্রধান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ,

নিজামপুর সরকারি কলেজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহুলাইনের ৪০০ বছরের পুরনো ‘মুছা খাঁ জামে মসজিদ’
পরবর্তী নিবন্ধকিংবদন্তি সুরস্রষ্টা সত্য সাহার ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি