কর্ণফুলীতে যুবদল নেতা জাহিদুর রহমান লিটনের (৩২) উপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কানু মাতব্বর বাড়ি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত লিটন ওই এলাকার মুহাম্মদ আলির ছেলে ও জুলধা ইউনিয়ন যুবদলের সক্রিয় সংগঠক। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যুবদল নেতা কাদের অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল বিএনপির নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। এ সময় আমি ও লিটন প্রতিবাদ জানাই। এরই জেরে আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় লিটন বাড়ি ফেরার পথে ৩০–৩৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। তিনি আরও জানান, হামলাকারীদের হাতে গাছের লাঠি, লোহার রড, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। এতে লিটন মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত হন। তাদের মধ্যে রবিন, দিদার, সাইফুল, নজরুল, নুরউদ্দিন, মুহাম্মদ আলী, জুবায়ের ও ইয়াছিনকে চিনতে পেরেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
আহতের এক আত্মীয় নাহিদ হাসপাতাল থেকে জানান, লিটনের মাথা, হাত ও পায়ে একাধিক আঘাত করা হয়েছে। সে ঠিকমতো কথা বলতে পারছে না। হামলাকারীরা ছাত্রলীগ–যুবলীগ নামধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, কিছু লোক থানায় এসে জানিয়েছে একজন হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এদিকে, ঘটনার পরপরই কর্ণফুলী থানার সামনে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আহত যুবদল নেতা লিটনের সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন।












