প্রকৃতির প্রতিটি সৃষ্টির ভেতরেই এক অদ্ভুত সৌন্দর্য ও সুষমা নিহিত। যদি আকাশকে প্রশ্ন করা হয় তুমি এত রূপময় কেন? যদি বাতাসকে প্রশ্ন করা হয় তোমার ছোঁয়া এত প্রশান্তি কেন? যদি সূর্যকে জিজ্ঞেস করা হয় তোমার দীপ্তিময় আলো কোথায় পাওয়া যায়? যদি চাঁদকে প্রশ্ন করা হয় তোমার কোমল আলোর উৎস কী? যদি তারাকে প্রশ্ন করা হয় তুমি কেন রাতের আঁধারে মিটিমিটি আলো ছড়াও?
এভাবে সাগরের ছন্দময় ঢেউ, গোলাপের মিষ্টি সুবাস, পাখির সুরেলা কণ্ঠ, সবুজ পাতার ঝিরিঝিরি শব্দ কিংবা মৌমাছির মুখের মধু সব কিছুর উৎস অনুসন্ধান করলে একটি উত্তরই পাওয়া যায়। আর তা হলো সবকিছুই সম্ভব হয়েছে হযরত মুহাম্মদ (দ.)এর নূরের উসিলায়।
পবিত্র কোরআনে স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন, আমার এবং ফেরেশতাদের কাজ হলো আমার হাবিবের উপর দরূদ পাঠ করা। অর্থাৎ নবীজী (দ.) এর মর্যাদা আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করেছেন। সুতরাং ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করা কোনো নতুন রীতি নয়, বরং এটি সেই মহান আনন্দের প্রকাশ, যা আল্লাহ নিজেই সৃষ্টি করেছেন।
তাহলে প্রশ্ন আসে এই মহান দিবস উদযাপন করতে আপত্তি কোথায়? একজন প্রকৃত মুমিনের দায়িত্ব হলো ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) পালন করা এবং তাঁর ভালোবাসায় নিজেদের জীবন গড়ে তোলা। নবীজীর উসিলায় যেন আমাদের গুনাহ মাফ হয়, আর আমরা দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হতে পারি।