চীনের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনসহ দুই ডজনেরও বেশি বিশ্বনেতাকে পাশে নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সতর্ক করে বলেছেন, শান্তি বা যুদ্ধ, বিশ্বের সামনে এখন এই দুইয়ের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার সময়। গতকাল বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে জমকালো এই কুচকাওয়াজের মাধ্যমে চীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ও জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০ বছর উদযাপন করল, যেখানে পশ্চিমা নেতাদের বাদ দিয়ে তাদের চোখে ব্রাত্য পুতিন ও কিমকে অতিথি বানিয়ে, নতুন অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিশ্ব ব্যবস্থা নিয়ে বেইজিংয়ের অভিলাষ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। খবর বিডিনিউজের।
এই আয়োজনের উদ্দেশ্যই ছিল চীনের সামরিক শক্তি ও কূটনৈতিক অর্জন বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা; তাও এমন এক সময়ে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ ও ওলটপালট নীতি শত্রু–মিত্র সবার সঙ্গেই ওয়াশিংটনের সম্পর্ক খারাপ করছে। ‘আজ মানবজাতি শান্তি বা যুদ্ধ, আলোচনা বা সংঘাত, সবার জয় অথবা সবার হার, যে–কোনো একটি বেছে নেওয়ার মুখোমুখি, তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ৫০ হাজারেরও বেশি দর্শকের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে শি এমনটাই বলেছেন। ইতিহাসের সঠিক পাশে চীনের জনগণ অটল–অবিচল থাকবে, ভাষণে বলেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির এ শীর্ষনেতা। তিনি বলেন, তার দেশ অদম্য এবং কখনোই কোনো হুমকির কাছে মাথা নত করবে না। ছাদখোলা লিমুজিনে দাঁড়িয়ে এরপর শি তার বাহিনীর সদস্যদের এবং প্রদর্শনীর জন্য রাখা ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাংক ও ড্রোনসহ অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র ঘুরে দেখেন। ৭০ মিনিটের এ প্রদর্শনীতে হেলিকপ্টার থেকে ব্যানার নামানো, সুশৃঙ্খলভাবে যুদ্ধবিমানের উড়ে যাওয়াও ছিল। ওড়ানো হয়েছে ৮০ হাজার শান্তির পায়রা ও রঙবেরঙের হাজার হাজার বেলুন। গতকাল চীন প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল ওয়াইজে–১৭ ও হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ওয়াইজে–১৯ দেখিয়েছে।












