পটিয়ায় পৃথক স্থান থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ব্যাটারি রিকশা চাপায় মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। এতে একদিনেই উপজেলায় তিন মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। গতকাল সোমবার সকালে নিজ বসতঘরের পুকুর থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়। দুপুরে মহাসড়কের পাশে পড়ে থাকা অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে রোভার স্কাউট টিমের সদস্যরা এবং অপর ঘটনায় ব্যাটারি রিকশা চাপায় মৃত্যু হয় শিশুটির।
পুকুরে ভাসমান লাশ : উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের ঈশ্বরখাইন গ্রামে কাজী জাফর আহমেদ (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে নিজ বসতঘরের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত দানু মিয়ার পুত্র। জানা যায়, সকাল ৭টার দিকে বাড়ির পুকুরে ভাসমান অবস্থায় জাফর আহমেদের লাশ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। স্থানীয়রা জানান, নিহত ব্যক্তি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
সড়কের পাশে অজ্ঞাত লাশ : সোমবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের জঙ্গলখাইন পরিষদের সামনে সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে রোভার স্কাউট টিমের সদস্যরা। ব্রাম্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের রোভার স্কাউট টিমের তিন সদস্য ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণে পায়ে হেঁটে কঙবাজার যাওয়ার পথে বিষয়টি তাদের নজরে এলে তারা মরদেহটি উদ্ধার করে।
কলেজ শিক্ষার্থী ও স্কাউট সদস্য মো. তাজবীদ বলেন, সড়কের পাশে এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখি। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেও কেউ উদ্ধার করতে না আসায় আমরা নিজেরাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি জসীম উদ্দীন জানান, সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা লাশটি প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ছিলেন। তবে কীভাবে মারা গেছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
শিশুর মৃত্যু : পটিয়া পৌর সদরের কাগজী পাড়া এলাকায় ঘটনায় খালার বাড়িতে বেড়াতে এসে ব্যাটারি রিকশা চাপায় হাবিবা আক্তার (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভুলবশত ব্যাটারি রিকশার সুইচ অন করলে রিকশার ধাক্কায় নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয়। সে বোয়ালখালী উপজেলার কানুনগো পাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের কন্যা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইমুনা আকতার জানান, ঐ শিশুকে মেডিকেলে আনা হলে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহতের মামা মো. জাবেদ জানান, মেডিকেলে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুজ্জামান জানান, রিকশা চাপায় নিহত শিশুকে পুলিশ যাওয়ার পূর্বেই তার বাড়ি বোয়ালখালীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় যে যুবকের লাশ পাওয়া গেছে তার পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে। তার পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।