সহজ জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে একাই বল হাতে ধসিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে তাসকিনের সাথে নাসুম আহমেদ এবং মোস্তাফিজুর রহমানের যৌথ আক্রমণে আরো একবার কুপোকাত হলো ডাচরা। বাংলাদেশের বোলারদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে বেশিদূর যেতে পারল না নেদারল্যান্ডস। যে লক্ষ্য পেয়েছিল টাইগাররা তা পাড়ি দিতে বেগ পেতে হয়নি মোটেও। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলল বাংলাদেশ। গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি বাংলাদেশ দল জিতেছে ৯ উইকেটে। আগের ম্যাচে জয়টা ছিল ৮ উইকেটের। যদিও এই সিরিজটি কেবলই বাংলাদেশের এশিয়া কাপের প্রস্তুতির সিরিজ। কিন্তু তার ভেতরও যে একটা প্রতিযোগিতা থাকে। সে প্রতিযোগিতা এবং প্রস্তুতি দুটোই সারল বাংলাদেশ দল নিখুঁতভাবে। বাংলাদেশের বোলার এবং টপঅর্ডার ব্যাটাররা দারুণভাবে অনুশীলন সেরেছে। এবার তৃতীয় ম্যাচে নিজেদের বেঞ্চে থাকা ক্রিকেটারদের পরখ করার পালা। প্রথম ম্যাচে ডাচরা ১৩৬ রান করতে পারলেও এই ম্যাচে করতে পেরেছে কেবল ১০৩ রান। তাও ১৫ বল খেলতে পারেনি তারা। মূলত নাসুম, তাসকিন আর মোস্তাফিজদের বোলিং তোপেই সিরিজ জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত হয়ে গিয়েছিল।

ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাশ। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে পড়ে ডাচ ব্যাটাররা। ওপেনার ভিক্রমজিৎ সিং ও শেষ দিকে আরিয়ান দত্ত ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই ভালোভাবে তাসকিননাসুমদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। ভিক্রমজিৎ সিং ২৪ আর আরিয়ান করেন সর্বোচ্চ ৩০ রান। শুরুতেই ম্যাঙ ও’দাউদের উইকেট হারিয়ে দুর্দশার শুরু হয় নেদারল্যান্ডসের। এরপর তেজা নিদামানুরা আউট হন শূন্য রানে। অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস ৯ রান করে বিদায় নেন মোস্তাফিজুর রহমানের বলে। মিডল অর্ডারে শারিজ আহমেদ চেষ্টা করেছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর। তবে তার চেষ্টা খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যায়। ১৭ বলে ১২ রান করেন শারিজ। নোয়াহ ক্রোয়েস এবং সিকান্দার জুলফিকার দু’জনই আউট হন ২ রান করে। ৬৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে নেদারল্যান্ডস। সেই শঙ্কা আরও বেড়ে যায় ৮১ রানে নবম উইকেটের পতন হলে। কিন্তু শেষ উইকেট জুটিতে ১৮ বলে ২২ রান যোগ করে নেদারল্যান্ডসকে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করেন আরিয়ান দত্ত ও ড্যানিয়েল ডোরাম। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে দলের রান ১শতে নেন তারা। একই ওভারের তৃতীয় বলে স্পিনার মাহেদি হাসানের বলে বোল্ড হন আরিয়ান। এতে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের বিপক্ষে টিটোয়েন্টিতে এটিই সর্বনিম্ন রান ডাচদের। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ৩০ রান করেন আরিয়ান। ২ রানে অপরাজিত থাকেন ডোরাম। বল হাতে বাংলাদেশের নাসুম ২১ রানে ৩টি, তাসকিন ও মুস্তাফিজ ২টি করে এবং মাহেদি ও তানজিম ১টি করে উইকেট নেন।

জবাবে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের দুই ওপেনার যথারীতি ঝড়ো শুরু করেন। কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও নিজের ইনিংসটাকে বড় করতে পারলেন না পারভেজ হোসেন ইমন। প্রথম ম্যাচে ৯ বলে ১৫ রান করা ইমন গতকাল ফিরেছেন ২১ বলে ২৩ রান করে। এরপর অবশ্য ডাচদের আর কোন সুযোগ দেননি তানজিদ হাসান তামিম এবং অধিনায়ক লিটন দাশ। আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরিটা তুলে নিতে না পারলেও এই ম্যাচে ঠিকই তুলে নিয়েছেন তানজিদ তামিম। লিটনের সাথে ৬৪ রানের জুটি গড়ে ৪১ বল হাতে রেখে ম্যাচ এবং সিরিজ জয় নিশ্চিত করে তানজিদ তামিম। ৪০ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তানজিদ তামিম। অধিনায়ক লিটন অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ১৮ রান করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিন্ডিকেট চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধআটকে গেল হাই কোর্টের আদেশ, ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই