রাঙ্গুনিয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা করা সেই কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তরুণীর ঘরে হাজির হওয়া সজিব দাস ও প্রতীক নামে দুই তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
নিহত ওই ছাত্রী উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের শীল পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবা জানান, রোববার সকালে তিনি যখন তার কর্মস্থলে ছিলেন, তখন অচেনা দুই তরুণ তাকে ফোনে ঘরে যাওয়ার জন্য বলেন। তিনি ঘরে গেলে তার স্ত্রীর সাথে তাদের কথা বলতে দেখেন। এরমধ্যে হঠাৎ পাশের ঘর থেকে চিৎকার শুনে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। তাৎক্ষণিক তাকে নামিয়ে হাসপাতালে নেয়া হলে গতকাল সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, শহরের একটি গয়নার দোকানে কাজ করা তরুণ সজিব দাশ এবং কাপ্তাইয়ের একটি সরকারি কলেজের ছাত্র প্রতীক ওই ছাত্রীর ঘরে রোববার সকালে হাজির হন। তারা দাবি করেন তাদের দুজনের সাথে একযোগে প্রেম করেছে ওই কলেজছাত্রী। বিষয়টি তারা বুঝতে পেরে ওই দুই তরুণ পরষ্পরের সাথে যোগাযোগ করে তার পরিবারকে সতর্ক করতেই হাজির হয়েছে। এ সময় ওই তরুণী নিজ কক্ষে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ওই দুই তরুণকে রাত পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রেখে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
সজিব দাস জানান, প্রায় এক মাস ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অন্যদিকে প্রতীক জানান, চার মাস ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির ফেসবুক পাসওয়ার্ড তার কাছে থাকায় তিনি সজিবের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন। প্রতীক বলেন, পরে আমরা দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিই, বিষয়টি মেয়ের পরিবারকে জানাব, যেন ভবিষ্যতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। সেই উদ্দেশ্যেই আমরা একসঙ্গে তার বাড়িতে এসেছিলাম।
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার গতকাল সোমবার সকালে বলেন, দুই তরুণ থানায় আছে এবং মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।