করদাতার প্রতিনিধির থেকে ৩৮ লাখ টাকা ‘নেওয়ার বিনিময়ে’ আগের নথিপত্র হস্তান্তর করার অভিযোগে এক সহকারী কর কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু নামের এ কর্মকর্তা ঢাকার কর অঞ্চল–৫ এ কর্মরত ছিলেন। গতকাল সোমবার তার বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পাশাপাশি তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এর আগে ২১ আগস্ট নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিতে সহযোগিতার অভিযোগে একই অঞ্চলের আরেক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। সোমবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সহকারী কর কমিশনার মিতুকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করে। খবর বিডিনিউজের।
আদেশে বলা হয়, মিতুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ৩৮ লাখ টাকা গ্রহণের বিনিময়ে এ কর অঞ্চলের করদাতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের মনোনীত প্রতিনিধিকে (আয়কর আইনজীবী) আয়কর নথির ‘অধিকাংশ পূর্ববর্তী রেকর্ড (পুরোনো আয়কর রিটার্ন, অর্ডার শিট, কর নির্ধারণী আদেশ, আপিল–ট্রাইব্যুনাল আদেশগুলো এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস) হস্তান্তর করেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
এর আগে ২১ আগস্ট নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিতে সহযোগিতার অভিযোগে উপ–কর কমিশনার লিংকন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর অঞ্চল–৫ এর সাবেক কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাক, অতিরিক্ত কর কমিশনার গোলাম কবীর ও উপ–কর কমিশনার লিংকন রায়ের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় মামলার অনুমোদন দেয়। পরে লিংকন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।