বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত চট্টগ্রাম রিজিওনাল টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত তিনটি ম্যাচে জয় পেয়েছে যথাক্রমে এশিয়ান চট্টগ্রাম,কন্টিনেন্টাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ক্লিফটন কক্সবাজার।
চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় এশিয়ান চট্টগ্রাম ৯৩ রানের বড় জয় পায় ফর্টিস রাঙামাটির বিপক্ষে। টসে জিতে এশিয়ান চট্টগ্রাম প্রথমে ব্যাট করতে নামে। ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা ১৩৭ রান সংগ্রহ করে। চট্টগ্রামের পক্ষে ওপেনার সাদিকুর রহমান ২৮,এস এম তাওসিফ ২৪,ওমর হাসান অপরাজিত ১৯ অধিনায়ক ইরফান শুক্কর ১৬, সাজ্জাদুল হক ১৩ এবং মো. রুবেল ১১ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে জমা হয় ১০ রান। রাঙামাটির পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন সামসুদ্দিন বাপ্পা এবং মোবারক হোসেন। জবাবে রাঙামাটি ১৩.৩ ওভার খেলে মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের সামশুদ্দিন বাপ্পা ১৩ এবং কাজী কামরুল ১১ রান করেন। আর কেউ দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। চট্টগ্রামের বোলিং তোপে পড়ে শুরু থেকে ধুকতে থাকে রাঙামাটির দলটি। মাত্র ১২ রানেই ৩টি উইকেটের পতন ঘটে তাদের। এরপর ক্রমান্বয়ে উইকেটের পতন ঘটতেই থাকে তাদের। ফলে অর্ধশত রানে পৌঁছানের আগেই অলআউট হয় তারা। চট্টগ্রামের ইরফান হোসেন ১২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট লাভ করেন। ২টি করে উইকেট পান মো. রুবেল ৬ রান দিয়ে এবং সাজেদুল ইসলাম ৮ রান দিয়ে। চট্টগ্রামের ইফরান হোসেন ম্যান অব দি ম্যাচ নির্বাচিত হন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন এশিয়ান গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর মো. বেলায়েত এবং ফর্টিস গ্রুপের প্রতিনিধি আবদুল আহাদ রিপন। সাগরিকাস্থ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দুটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম খেলায় কন্টিনেন্টাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ উইকেটে ইস্পাহানি লক্ষীপুরকে পরাজিত করে। টসে জিতে লক্ষীপুর প্রথমে ব্যাট করতে নামে। ১৮.১ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে তারা ৬৫ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে ওপেনার আশিক মাহমুদের ব্যাট থেকে। তিনি ১৯ রান করেন ২২ বল খেলে। এছাড়া মাহবুবুর রহমান ১৪ বলে করেন ১১ রান। বাকিরা দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শামিম মিয়া ১৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। ২টি করে উইকেট পান খাইরুল ইসলাম এবং ইসমাইল হোসেন। জবাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১৩ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। তারা ৬৮ রান তুলে নেয়। দলের পক্ষে শামিম মিয়া ২০, আশফাক আহমেদ ১২ এবং হেমায়েত হোসেন ১১ রান করেন। লক্ষীপুরের পক্ষে হেলাল উদ্দিন এবং ইমতিয়াজ মল্লিক ২টি করে উইকেট নেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শামিম মিয়া এ খেলায় ম্যান অব দি ম্যাচ হন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন কন্টিনেন্টাল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আহসান ইকবাল চৌধুরী এবং ইস্পাহানি গ্রুপের ম্যানেজার টি ট্রেড তাসবির হাকিম।
একই মাঠে দুপুরে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় খেলায় ক্লিফটন কঙবাজার ২৩ রানে এবি ব্যাংক নোয়াখালীকে পরাজিত করে। টসে জিতে কক্সবাজার প্রথমে ব্যাট করতে নামে। নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে তারা ১৩০ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে সাজ্জাত হোসেনের ব্যাট থেকে। ৩০ বল খেলে তিনি ৩৬ রান করে আউট হন। অন্যদের মধ্যে আবদুল্লাহ হানিফ ১৯,মো. শাহজাহান ১৬, আবদুল্লাহ আল হিরো ১৫ এবং মোদাস্সিরুল ইসলাম ১৫ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ১৩ রান। নোয়াখালীর রাশেদ উদ্দিন,মোস্তাকিম হোসেন হাসিব এবং ইয়াসিন আরাফাত প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। জবাবে নোয়াখালী ১৮.৪ ওভার খেলে ১০৭ রানে সব উইকেট হারায়। ওপেনার মইনুল তন্ময় ১৬ বল খেলে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ৪টি ছক্কার সাহায্যে। এছাড়া মাকসুদুর তন্ময় ২৬ এবং আবদুল্লাহ জিহাদ ১৬ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ১১ রান। কক্সবাজারের হুমায়ুন আহমেদ ২১ রান দিয়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। মোদাস্সিরুল ইসলাম ১৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট পান। কঙবাজারের হুমায়ুন আহমেদ ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবি ব্যাংক সিনিয়র এসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল মজিদ।