নগরের চান্দগাঁও থানার মোহরা দিঘীর পাড় মৌলভীবাজার এলাকায় অগ্নিদগ্ধ শশী ঘোষও মারা গেছে। গতকাল বুধবার ভোর ৪টায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে শশীদের বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। এতে শশী ঘোষ, তার বাবা, মা ও দাদীসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে মারা যান দাদী গীতা রানী ঘোষ।
নিহত শশী ঘোষ নগরের সেন্ট মেরিস স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আগুন লেগে যখন দাউ দাউ করে জ্বলছিল তখন সুযোগ থাকলেও তার প্রিয় দাদীকে ছাড়া বের হতে রাজি ছিল না সে। তাই শক্ত করে ধরেছিল দাদীর হাত। এক সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় দাদী। ফরে ফায়ার সার্ভিস’র কর্মীরা এসে উদ্ধার করে শশীকে। প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে তাকে ভর্তি করে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। কিন্তু চিকিৎসকের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে। যেন দাদীর কাছে চলে যাওয়া তার। এদিকে শশীর মা দগ্ধ কণা ঘোষও বর্তমানে ভর্তি আছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
শশী ঘোষের চাচাতো ভাই রাজীব ঘোষ জানান, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শশী ঘোষের মৃত্যু হয়। তার মরদেহ রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার কথা আছে। আর তার কাকী কণা ঘোষ এখনো ঢাকায় চিকিৎসাধীন। শশীর বাবা প্রদীপ ঘোষ বলেন, শশী সবসময় দাদীর ছায়ার মতো থাকত। আগুনে সবাই ছুটছে জীবন বাঁচাতে। কিন্তু শশী তখনও দাদীর হাত ছাড়েনি। এ ভালোবাসাই আজ তাকে বিপদের মুখে ফেলেছে।