রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ৬ নম্বর মাইনীমুখ ইউনিয়নে পাহাড় কেটে প্লট বানিয়ে জমি বিক্রির ঘটনায় ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তর রাঙামাটি জেলা কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। আসামিরা হলেন উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়নের সোনাই গ্রামের দুলাল (৫০), মো. ইউসুপ আলী (৪২), মো. আমিরুল ইসলাম (৬৫), মো. ইব্রাহিম (৪৫), মো. ছগির (৪০) এবং লংগদু ইউনিয়নের বাইট্টাপাড়া গ্রামের মো. মোস্তফা কামাল (৬৫)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আসামিরা পাহাড় কর্তন করলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন/পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ করা হয়নি। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে পাহাড় কর্তন না করার জন্য নিষেধের পরও পাহাড় কর্তন অব্যাহত রয়েছে। উপরোক্ত কর্মকাণ্ডের ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে, যা কোনো দিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। অভিযুক্তরা পাহাড় কর্তনে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, প্রাকৃতিক ভারসাম্যহানি, ফসলের ক্ষতি, টপ সয়েল নষ্ট, বৃক্ষরাজির ক্ষতি, মাটির ভূ–গঠনের পরিবর্তন, পাহাড়ের বাইন্ডিং ক্যাপাসিটি নষ্ট, পাহাড়ের ইরোসন রেট বৃদ্ধিসহ ডাউনস্ট্রিম কনফ্লিক্ট এবং সিলটেশন বৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পতিত হয়েছে। পাহাড় কর্তন করে ভূমির প্রকৃতি ও অবস্থার বেআইনিভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। আশঙ্কা করা যাচ্ছে এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে অচিরেই পাহাড়সমূহ সমতলে পরিণত হবে।
এতে আরও জানানো হয়, পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করাসহ সরকারি আদেশ অমান্য করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ধারা ৪(২), ৬ (খ) এবং ১২ লঙ্ঘন করেছেন। ফলশ্রুতিতে একই আইনের দণ্ড ধারা ১৫ (১) টেবিলের ক্রমিক ১, ৫ ও ১২ ধারা মোতাবেক দণ্ডনীয় অপরাধ করায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত–২০১০) অনুযায়ী মামলা রজু করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর রাঙামাটি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কর্তন করে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারী আসামিদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার লংগদু থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।