চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সেন্ট মেরীস স্কুল প্রাঙ্গণে দ্বিতল ভবনের স্থানে এখন উঠেছে ৬ তলা নতুন আর্চবিশপ মজেস ভবন। ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেড়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর স্কুলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করা হয় শিক্ষার্থী বাড়ানোর লক্ষ্যেই। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে নার্সারি শ্রেণিতে দিবা বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর।
বর্তমানে নার্সারিতে ডে শিফটে ৬টি সেকশন, কেজিতে মর্নিং ও ডে শিফটে ৮টি সেকশন, ১ম শ্রেণিতে মর্নিং ও ডে শিফটে ৮টি সেকশন, ২য় শ্রেণিতে মর্নিং ও ডে শিফটে ৯টি সেকশন, ৩য় শ্রেণিতে মর্নিং ও ডে শিফটে ৬টি সেকশন, ৪র্থ শ্রেণিতে মর্নিং ও ডে শিফটে ৬টি সেকশন, ৫ম শ্রেণিতে মর্নিং ও ডে শিফটে ৫টি সেকশন ও ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ১টি সেকশন, ৭ম ও ৮ম শ্রেণিতে ২ টি সেকশনে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। ভবিষ্যতে বাড়তে পারে শিক্ষার্থী, তাই স্কুলের আরও একটি ভবন নির্মাণাধীন।
স্কুল মাঠের সামনে ৫০–৬০ ফুট উন্মুক্ত স্থানে বর্ষাকালে অস্থায়ী ত্রিপল (টারপলিন) টাঙানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে শুধু এই সময়টাতেই শিক্ষার্থীদের বৃষ্টিতে ভিজতে হয়, দুর্ভোগ পোহাতে হয় অভিভাবকদেরও। ভিড়ের মধ্যে সন্তানকে খুঁজে পেতে উদ্বিগ্ন হয়ে ছোটাছুটি করতে হয়। প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার মেরী সঙ্গীতা এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করলে স্কুলের সুনাম বাড়বে, দূর হবে হাজারও কোমলমতি শিক্ষার্থীর কষ্ট।
নীল কমল ধ্রুব
চট্টগ্রাম।