যাপনসমুদ্র অবগাহন

নীলুফা সুলতানা | বুধবার , ২৭ আগস্ট, ২০২৫ at ৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ

লেখায় কী অমন থাকতে হয় যা তোমাদের সুখী করে তোলে? আনন্দিত করে তোলে? ভেবেছিলাম আমায় মুগ্ধ করেছিল আল মাহমুদ অথবা সোফির জগত নামে মুগ্ধ করা বিখ্যাত বইগুলো। তারও পূর্বে আমার হারায় যেতে ইচ্ছে হলো অচেনা এক মহাদেশে, যেখানে হয়ত কেউ আমার নাই। আছে শুধু আমার গাছপালা, পতঙ্গ, সমুদ্র। সমুদ্র, নদী নারীকে নিয়ে আমার অসংখ্য ভাবনা। আমায় মুগ্ধ করতে পেরেছিল আল মাহমুদ ও সোনালি কাবিন। মাহমুদ পড়লেও ইচ্ছে করে তাঁর সাথে শৈশব কৈশোরের গাঁয়ে বসবাস করা মানুষদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আসতে। গাঁয়ের রাখালিয়া পথ তোমাদের ভালো লাগবে আমি জানি। গাঁয়ের পথগুলো হয় আঁকাবাঁকা, লাল পাথরের ইটের টুকরোয় ইচ্ছে করবে উদাস পথের সঙ্গী হতে, ডালপালায় হাত বুলিয়ে দিতে। অসংখ্যবার যাওয়া হয়েছে এই গাঁয়ে, গাঁয়ের রাস্তার সাথে মিশে গিয়ে চলে যাওয়া হয়েছিল মিশরীয় রাস্তায়, সেপ্টেম্বর আমার উপত্যকা ভুবনে।

অবসন্ন দুপুরে সুকান্তসমগ্র পড়তে পড়তেও ভাবছি এইসব দূরহ যাপনসমূহ নিয়ে। কল্পনাসমূহকে নিয়ে নাচন তাদের আমাকে ছেড়ে না যাওয়া। কেন যে তারা আমায় ছেড়ে যায়না! মাঝে মাঝে মনে হয় তোমরা বেশ ভালো আছো। একরাশ ঘৃণা নিয়ে, প্রাত্যহিক জীবন যাপনে ও হয়তো আমায় মনে পড়বেনা। এত দূরে তোমরা তবু এত কাছে, আজ আমার এলোমেলো কয়েকছত্র তোমাদের নিকট নিবেদন। তোমাদের হয়ত স্পর্শ করবে না, তবু তোমাদের বলে যাওয়া অমোঘ আকর্ষণে নিয়তি সঁপে দিয়ে! আবারও ইচ্ছেহলো সুকান্তসমগ্রে ডুব দেওয়ার। হঠাৎই ইচ্ছে করলো সুকান্ত শোনানোর। বেচারা কবি! বেশিদিন বাঁচতে পারেননি। তার তুলনায় আল মাহমুদ যদিও বা দীর্ঘজীবন পেয়েছেন। এই সমস্ত যাপন দেখে বসন্তে হারানোর শখ জাগে আরেকবার পড়ে নেওয়া গোঙুরের পথ। দিনের কুসুমবাগে তারার বালিরা ফুটলে সেখানে দেখা দেয় রাতকঙ্কালসার বাসনাগুলো। দূর সমুদ্র দুপুর ঘুমোয় নিজ বাসনায়। আলাবোলা পাখিগুলোও বেশ নাচে মনের সুখে। রঙিন জীবন, আরশীনগর একের পর এক ফেলে আসা দৃশ্যপটেও সুর পথটিকে ভুলাচ্ছে না আলতোয় ঝুমবৃষ্টির গভীর অরণ্যদানে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনন্ত ভালোবাসায়
পরবর্তী নিবন্ধসেন্ট মেরীস স্কুলে একটি ত্রিপলের অভাবে শিক্ষার্থীদের কষ্ট