পড়ে গেলেন ইমরানুর,তারেক সেরা,শিরিনকে হারালেন শারীফা

২০০ মিটার স্প্রিন্ট

স্পোর্টস ডেস্ক | সোমবার , ২৫ আগস্ট, ২০২৫ at ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসে ২০০ মিটার স্প্রিন্টে দৃষ্টি ছিল ইমরানুর রহমান ও শিরিন আক্তারের দিকে। দুজনেই আশাহত করেছেন। আগের দিন দ্রুততম মানবীর মতো ২০০ মিটারেও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়েছেন শিরিন। ইমরানুর দ্রুততম মানব হলেও এই ইভেন্টে মাঝপথেই তার দৌড় শেষ হয়ে যায়। তাদের জায়গায় প্রথমবারের মতো শারীফা খাতুন ও তারেক রহমান শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। ১০০ মিটার নারী স্প্রিন্টের মতো ২০০ মিটারেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। সেনাবাহিনীর শারীফা ২৫ দশমিক ২৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম আর নৌবাহিনীর শিরিন ২৫ দশমিক ২৭ সেকেন্ডে হন দ্বিতীয়। বিকেএসপির মিম আক্তার ২৫ দশমিক ৮৭ টাইমিংয়ে তৃতীয়। স্বর্ণপদক জিতে শারীফা উচ্ছ্বসিত, ‘শিরিন আপু না সুমাইয়া? কে চ্যাম্পিয়ন, এটা নিয়ে অপেক্ষা হয়েছে দেখেছি। সুমাইয়া যখন প্রথম হয়েছে, তখন আমিও আত্মবিশ্বাসী হয়েছিলাম যে আমিও পারবো শিরিন আপুকে হারাতে। অনেকবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছি। কখনও ২০০ মিটারে প্রথম হইনি। অনেক সময় দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছি। শিরিন আপুর সঙ্গে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। তিনি আমার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকতেন। এবার পেরে ভালো লাগছে।’ খুলনার মেয়ে শারীফা মূলত ৪০০ মিটার দৌড়ে অংশ নেন। এবার সেই ইভেন্টে অংশ নেননি। তবে দুইশ মিটারে প্রথম হবেন এটা ভাবেননি। ইংল্যান্ড প্রবাসী দ্রুততম মানব ইমরানুর ২০০ মিটারে শুরুটা ভালোই করে ৫০ মিটার দৌড়ানোর পর ট্র্যাক থেকে ছিটকে যান। এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তারেক রহমান নিজের সঙ্গে নিজেই লড়েছেন অনেকটা। ২২ দশমিক ০৪ সেকেন্ড টাইমিং নিয়ে ২০০ মিটারে স্বর্ণ জিতেছেন তিনি। ইমরানুরের মতো অ্যাথলেট থাকা সত্ত্বেও প্রথম হওয়ার বিশ্বাস ছিল তারেকের, ‘ইমরান ভাইয়ের স্টেপিং ভালো। আমি চেষ্টা করেছি কার্ভে জোর দিতে। তিনি পুরো দৌড়ে থাকলেও আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতাম। আমার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আত্মবিশ্বাস ছিল।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনূর্ধ্ব-১৫’র ছেলেদের কাছে এবার ৮ উইকেটে হারলো জ্যোতিরা
পরবর্তী নিবন্ধফতুল্লা স্টেডিয়ামের অবস্থা দেখে মর্মাহত বুলবুল