বাস্কেটবলের কোর্ট ছেড়ে এবার ফুটবল মাঠে নেমেছেন পাভেল পদকোলজিন। আর ফুটবল খেলতে নেমেই আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। যার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ তার উচ্চতা। ২.২৬ মিটার (৭ ফুট ৪ ইঞ্চি) লম্বা সুঠাম দেহের এই সাবেক এনবিএ খেলোয়াড়ের ফুটবল খেলার ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ফুটবলার এখন বলা হচ্ছে তাকেই। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে ঠেলে বল দখলের চেষ্টা করছেন পাভেল। পরে অবশ্য নিজে বল হারিয়ে ফেললে সেই খেলোয়াড়কে পিঠ চাপড়ে সান্ত্বনা দেন তিনি। আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, দলের ড্রেসিংরুমে ঢুকতে মাথা বেশ নিচু করতে হচ্ছে তাকে। সতীর্থরা ঘাড় উঁচিয়ে অনেকটা আকাশের দিকে তাকিয়ে তার সঙ্গে কথা বলছিলেন। বাস্কেটবলে নামডাক থাকলেও ফুটবলার ছিলেন না পাভেল। তিনি খেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এনবিএ লিগের দল ডালাস ম্যাভেরিকসে। তবে বিরল হরমোনজনিত রোগ অ্যাক্রোমেগালিতে ভুগছেন পাভেল। এরপর দীর্ঘ বিরতি শেষে এবার পেশাদার ফুটবলে নাম লিখিয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাশিয়ান কাপে আমকাল মস্কোর হয়ে অভিষেক হয়েছে ৪০ বছর বয়সী এই রাশিয়ানের। ফুটবল মাঠে নামার মাধ্যমে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন তিনি। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা ফুটবলার এখন পাভেল পদকোলজিন। তার আগে সবচেয়ে লম্বা ফুটবলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন সাবেক বেলজিয়ান গোলকিপার ক্রিস্তফ ফন হাউট (২.০৮ মিটার)। ডেনিশ গোলকিপার সাইমন ব্লোখ জোর্গেনসন ও ইংলিশ স্ট্রাইকার কাইল হাডলিনের উচ্চতা ২.১০ মিটার। আবার জার্মান ফরোয়ার্ড জোনাথন মেরটাশের উচ্চতা ২.১৪ মিটার বলে জানিয়েছে অন্য একটি মাধ্যম। কিন্তু ৭ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন পাভেল। গোলপোস্টের ক্রসবার থেকেও ১৭ সেন্টিমিটার লম্বা তিনি। এনবিএ ক্যারিয়ারে খুব বেশি সাফল্য পাননি পাভেল। ২০০৪ সালে ইউটাহ জ্যাজ তাকে ড্রাফটে ২১তম খেলোয়াড় হিসেবে নিয়েছিল। পরবর্তীতে পাভেলকে ডালাস ম্যাভেরিকসে পাঠানো হয়। ডালাসের হয়ে মাত্র ৬ ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন। পরে দেশে ফিরে রাশিয়ান সুপার লিগে খেলা শুরু করেন। কালুগার বিপক্ষে ম্যাচে শুরুতে ব্যাকলাইনে খেলেছেন তিনি। ১৯ মিনিট পর তাকে তুলে নেওয়া হয়। তবে একটি কর্নার কিকে হেডে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন পাভেল, অতিরিক্ত লম্বা হওয়ার কারণে সেটি কাজে লাগাতে পারেননি। ম্যাচটি ১–০ গোলে জিতেছে পাভেলের দল আমকাল। ম্যাচ শেষে পাভেল বলেছেন, ‘এই খেলায় নামতে পারাটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ। আমি রাশিয়ান কাপে খেলছি। সত্যি বলতে জানি না, কী বলা উচিত। এই সুযোগের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’