বিশেষ নিলামে রেকর্ড ১ হাজার ৪০০ দরপত্র জমা

পণ্যের সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ না করায় বেড়েছে অংশগ্রহণ

জাহেদুল কবির | সোমবার , ২৫ আগস্ট, ২০২৫ at ৪:২০ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া চট্টগ্রাম কাস্টমসের বিশেষ নিলামে রেকর্ড ১ হাজার ৪০০টি দরপত্র জমা পড়েছে। নিকট অতীতে ১৪৪ লটের বিপরীতে এত সাড়া পায়নি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত মাসের ১৬ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ও ম্যানুয়ালি দরপত্র গ্রহণ করে কাস্টমস। নিলামে টাইলসফেব্রিক্সসহ ১৪৫ লটের একটিতে দরপত্র পড়েনি। বিডারদের (নিলামে অংশগ্রহণকারী) উপস্থিতিতে টানা দুইদিন দরপত্র খুলে দরদাতাদের নাম প্রকাশ করা হয়। যদিও এখনো চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ দরদাতাদের তালিকা প্রকাশ করেনি। এতে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি বলছেন নিলাম শাখার একজন কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ১৪৫ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছেএমপিইটি ফিল্ম, ব্যবহৃত কোবেলকো স্কেভেটর, পপলিন ফেব্রিক্স, টাইলস, ওয়াটার ফিল্টারিং মেশিনারি, নিউ টায়ার, অটো এলপিজি স্টোরেজ ট্যাংক, জিপসাম বোর্ড, আর্ট কার্ড ২৩০ জিএসএম, গাড়ির আয়না, এক্রিলিক পলিমার, এলইডি ল্যাম্প, জ্যাকেট, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, আর্টিফিসিয়াল টার্ফ, রিচার্জবল ফ্যান, ব্লক মেকিং মেশিন, সোডিয়াম সালফেট, মেরিন ডিজেল ইঞ্জিন ও এক্সেসরিজ, ক্যাপিটাল মেশিনারি, ডিজেল ইঞ্জিন, শ্যাম্পু, লাইমস্টোন, হেলমেট, পেপার, ক্র্যাপ্ট লইনার পেপার, আয়রন ডাস্ট স্ক্র্যাপ, সেকেন্ড হ্যান্ড মেশিনারি, পাইপ ফিটিং, সোলার স্ট্যান্ড ফ্যান, ক্যালসিয়াম অক্সাইড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, উড প্যাকিং ম্যাটেরিয়ালস, গ্যাস স্টোভ পার্টস, প্লাস্টিক ফিল্ম, হোয়াইট স্প্রিট, টেক্সটাইল কেমিক্যালস, স্টিল স্ক্র্যাপ, সোডিয়াম নাইট্রেট প্রভৃতি।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের বিডারররা বলছেন, কাস্টমসে অনেক পণ্য নিলামে তোলা হয়, দেখা যায়, নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে আর বিক্রয় অনুমোদনের খবর থাকে না। এতে বিডারদের পে অর্ডার আটকে থাকে। এছাড়া যথাসময়ে পণ্যের অনুমোদন না হওয়ায় বিডারদেরও ভোগান্তি হয়। তাই বিষয়টি কাস্টমস নিলাম শাখা সংশ্লিষ্টদের নজর দেয়া উচিত। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে ১৪৫ লটে সর্বোচ্চ সাড়া পাওয়া গেছে। কাস্টমসের নিলাম কমিটি যাচাই বাছাই শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এবার অংশগ্রহণকারী বাড়ার কারণ হচ্ছে কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা ছিল না।

উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধদ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে একমত বাংলাদেশ-পাকিস্তান