বর্তমান যুগের ভয়াবহতার একটা পর্যায় হলো গেমসে আসক্তি। শুধু তরুণরা নয় বরং সকল বয়সের মানুষ গেমসে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মূলত সাময়িক আনন্দের জন্য কেউ গেমে প্রবেশ করলেও সে এর থেকে আর বেরুতে পারছে না। অনেকে বাস্তব জীবনের চাপ, হতাশা বা একঘেয়েমি থেকে বাঁচতে গেমিংয়ের জগতে আশ্রয় নেয়। আবার গেমগুলিতে পুরস্কারস্বরূপ পয়েন্ট, লেভেল, ভার্চুয়াল আইটেম জেতার সুযোগ থাকে যা ব্যক্তিকে আরও খেলতে উৎসাহিত করে। স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণেও গেমগুলি হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। কিছু গেমে সামাজিক যোগাযোগের সুযোগ থাকায় খেলোয়াড়রা অন্যদের সাথে দলবদ্ধভাবে খেলতে পারে। এটি একাকীত্ব দূর করতে সাহায্য করলেও, আসক্তিতে পরিণত হয়। টানা গেম খেলার ফলে দেখা দেয় অনিদ্রা, স্থূলতা, চোখের সমস্যা, হাতের কব্জি বা পিঠের ব্যথা। এছাড়াও পড়াশোনা বা কর্মক্ষেত্রে মনোযোগের অভাব দেখা দেয় ফলস্বরূপ খারাপ ফলাফল বা কর্মচ্যুতি ঘটে। গেমসে আসক্তির ফলে বাস্তব জীবনের সম্পর্কগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বেড়ে যায়। সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ দেখা গেছে, গেমিংয়ে বাধা দেওয়ায় ব্যক্তিকে খুন করতে। অর্থাৎ দিনদিন এর ভয়ংকর প্রভাব পড়ছে ব্যক্তির মস্তিষ্কে, সমাজে, রাষ্ট্রে। এজন্য প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে পরিবারকে। আসক্ত ব্যক্তিকে অনেক বেশি সময় দিতে হবে যাতে সে বাস্তব দুনিয়ায় ফিরে আসে। ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শুরু করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরে থাকতে হবে। গেমের পরিবর্তে বিকল্প শখ খুঁজতে হবে। আসক্তি গুরুতর হলে থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে।