চট্টগ্রামে ১৬ আসনে দরকার সাড়ে ১৭ হাজার স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন বর্তমানে মজুত আছে প্রায় ১৬ হাজার

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৪ আগস্ট, ২০২৫ at ৭:২০ পূর্বাহ্ণ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৩ সংসদীয় আসন এবং চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণের জন্য আসনভিত্তিক ভোট কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের চাহিদাপত্র তৈরি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণের জন্য ১৭,৪৭০টি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের প্রয়োজন হবে। এখন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের স্টোরে এবং বিভিন্ন উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোরে মজুত আছে ১৫,৯৪৪টি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের হিসেব অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে ১৬ আসনের জন্য আরো ১ হাজার ৫২৬টি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স লাগবে। সেই হিসেবে নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর জন্য চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে চাহিদাপত্র তৈরি করা হয়েছে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার উপযোগী কত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স রয়েছে সে তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে ব্যালট বাক্সের হিসেব দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে মাঠ কার্যালয়ের গোডাউন খালি করতেও বলা হয়েছে।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যবহার উপযোগী ব্যালট বাক্সের হালনাগাদ হিসেব আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা১ অধিশাখায় প্রেরণ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, প্রত্যেক ভোটকক্ষের জন্য একটি করে এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য একটি অতিরিক্ত হিসেবে ব্যালট বাক্স দেওয়ার নির্দেশনা থাকে। কোনো ভোটকক্ষে একই সঙ্গে একাধিক ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা যায় না।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২০২২টি। বুথের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৭৪১টি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য প্রতিটি ভোটকক্ষ বা বুথে একটি করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে অতিরিক্ত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ছিল। সেই হিসেবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১৬ হাজার ৪৪০টি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স লেগেছিল।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কারণ চট্টগ্রামে এবার নতুন ভোটার বেড়েছে ৩ লাখ ৪০৫১ জন। আবার নাও বাড়তে পারে। কারণ, গত ১৮ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা নিয়ে সভা হয়। সভায় কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া ভোট না বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যৌক্তিক বিবেচনায় যদি ভোটকেন্দ্র বাড়ে সেটা বাড়ানো হবে। আমাদের পার ভোটকেন্দ্র জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত ৩ হাজার জনের জন্য একটা কেন্দ্র। সেই অনুযায়ী হিসাব করে আমাদের ধারণা, ভোটকেন্দ্র না বাড়িয়েও শুধু ভোটার উপস্থিতির বিষয়টাকে যদি বিবেচনায় নিই, তাহলে হয়তো দেখা যাবে এটাকে সমন্বয় করতে পারছি। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, এখন আমাদের পার কেন্দ্রে পুরুষদের জন্য এটা আছে ৫০০ জনের জন্য একটা বুথ। এটাকে আমরা যদি ৬০০ করতে পারি তাহলে দেখা যেতে পারে আমরা একোমোডেট করতে পারব।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, যদি ভোট গ্রহণকালে কোনো ভোটকক্ষে একটি ব্যালট বাক্স পূর্ণ হয়ে যায় তখন অন্য একটি ব্যালট বাক্স দেওয়া হয়। তখন প্রিজাইডিং অফিসার এ ব্যালট বাক্স তার নিজের স্বাক্ষর ও সিল মেরে এবং উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনি এজেন্ট বা পোলিং এজেন্টদের মধ্যে যারা ইচ্ছুক তাদের সিল বা দস্তখত নিয়ে সিল করে দেন এবং বাক্সকে একটি সুরক্ষিত স্থানে রাখেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফের সীমান্তে ফের গোলাগুলি
পরবর্তী নিবন্ধজানালার গ্রিল কেটে ব্যাংক কর্মকর্তার বাসায় চুরি