টপ এন্ড টি–টোয়েন্টিতে শিরোপার স্বপ্ন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। গত আসরে রানার্সআপ হওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল পুঁজি। আর এবার অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান জানিয়েছিলেন শিরোপা জয়ের প্রত্যাশার কথা। কিন্তু বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন দেখা গেল। গ্রুপ পর্বেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের বিদায়। গতকাল ডারউইনে মেলবোর্ন স্টারস একাডেমির কাছে ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নুরুল হাসান সোহানের দল এখন অবস্থান করছে আট নম্বরে। শেষ ম্যাচে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমিকে হারালেও সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের নেট রান রেট দাঁড়িয়েছে –০.৫১৩। এদিক থেকে অন্য দলগুলোর অবস্থান অনেক ভালো। কাজেই এবারের আসর থেকে খালি হাতেই ফিরতে হবে বাংলাদেশকে সেটা অনেকটাই নিশ্চিত।
গতকাল প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল সংগ্রহ করেছিল ৮ উইকেটে ১৫৬ রান। সাইফ হাসান করেন সর্বোচ্চ ৪৫ রান। এছাড়া অধিনায়ক সোহান সংগ্রহ করেন ৩৩ ও ইয়াসির আলি রাব্বির ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। তবে দলের সংগ্রহ বড় করতে পারেননি কেউই। বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ২৭ রানে। জিসান ফিরেন ১৩ রান করে। এরপর ২৩ যোগ করার পর ১৯ রান করে ফিরেন নাঈম। এরপর আর কোন ব্যাটার বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ফলে বড় হয়নি দলের স্কোর। মেলবোর্নের হয়ে হামিশ ম্যাকেনজি নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। খরচ করেন মাত্র ২১ রান।
জবাবে মেলবোর্ন শুরুতেই ৩৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে নেয়। যদিও পরে ৮১ রানের মাথায় ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে দাঁড়িয়ে থাকেন জোনাথন মারলো। পাঁচ নম্বরে নেমে খেলেন ম্যাচসেরা ৬১ রানের ইনিংস মাত্র ৩৮ বলে। যেখানে ৩টি ছক্কা ও ৪টি চার মেরেছেন মারলো। মূলত তারই ব্যাটিং দাপটে জয় তুলে নেয় মেলবোর্ন। অথচ বাকিরা কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শেষদিকে হাসান মাহমুদের বলে মারলো আউট হলেও ততক্ষণে জয় হাতছোঁয়া। ১১ রান দূরে থাকতেই বিদায় নেন তিনি। তবে কাজ শেষ করে দেন ক্রিস্টিয়ান হাউ। ১৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রাকিবুল হাসান ও হাসান মাহমুদ। শেষ ম্যাচে লড়াই করে জয় তুলে কিছুটা সম্মান রক্ষা করাই এখন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের লক্ষ্য।