কর্ণফুলীর বড়উঠানে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত হয়ে পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আবদুল খালেক (১৪)। গত বুধবার রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খালেক উপজেলার বড়উঠান ৩নং ওয়ার্ড দৌলতপুর এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে এবং দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট।
জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বড়উঠান সিএনজি স্টেশন সংলগ্ন টার্ফ মাঠে খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিল খালেক। ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে অপরদিক থেকে আসা একটি সিএনজির চাপায় গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে পটিয়ার এক হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বড়উঠান ইউপি সদস্য জোবাইদা আক্তার মিতু বলেন, খালেক আমার ভাতিজা। দুর্ঘটনার পর থেকেই চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। বুধবার রাতে আইসিইউতে মারা যায়।
বড়উঠান শাহমীরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রেজাউল জানান, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা মোটরসাইকেলটি জব্দ করে পুলিশ ফাঁড়িতে জমা দিয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।