চট্টগ্রামে মৎস্য খাতে টেকসই উন্নয়নের অঙ্গীকার

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

| মঙ্গলবার , ১৯ আগস্ট, ২০২৫ at ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নানা আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণ হতে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি আরম্ভ হয়ে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম মোড় ঘুরে পুনরায় সার্কিট হাউজে প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শারমিন জাহান। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: কামরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ।

এ সময় স্বাগত বক্তব্যে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, “বাংলাদেশে ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ এবং ২৬০ প্রজাতির দেশী মাছ রয়েছে। কিন্তু পরিবেশগত বিপর্যয় এবং মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে কিছু কিছু মাছের প্রজাতি আজ বিপন্নপ্রায়। এ সমস্ত প্রজাতিগুলোকে রক্ষা করতে হলে অভয়াশ্রম গড়ে তোলার বিকল্প নাই।”

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী কামরুল হোসেন, মুনতাছির। সভায় জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির পক্ষ হতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সুবল চন্দ্র দাস। হালদায় ডিম সংগ্রহকারীদের পক্ষ হতে বক্তব্য রাখেন হাটহাজারীর ইলিয়াস হোসেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো: আনোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম একটি শিল্পনগরী হওয়া সত্ত্বেও মাছচাষে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাটি মৎস্যের অভয়ারণ্য। চট্টগ্রাম জেলায় মৎস্য সেক্টরে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তাই অত্র এলাকার মৎস্য সংশ্লিষ্টদের এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সভায় ০৫ (পাঁচ) জন সফল মৎস্যচাষিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে চট্টগ্রাস্থ ডিসি পার্কের পুকুরে এবং বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্রের লেকে পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চারণভূমি বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধবাবরকে টি-টোয়েন্টি দলে ফিরতে হলে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে