কর্ণফুলী উপজেলায় দেড় মাস ধরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেই। এসিল্যান্ডের পদটি শূন্য থাকায় ভূমি অফিসের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। বিশেষ করে, জমি কেনাবেচা নাম খারিজ, ভূমি উন্নয়ন কর সেবা মিলছে না। জমি খারিজ না করার কারণে বেচাকেনা করতে পারছে না সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া ব্যাহত হচ্ছে বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কাজ। এতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, কর্ণফুলী চট্টগ্রামের ব্যস্ততম একটি উপজেলা। প্রতিদিন কর্ণফুলীতে অনেক জমি বেচাকেনা ও নিবন্ধন হয়ে থাকে। জমি বিক্রি করতে গেলে নামজারি, বণ্টননামা ও খাজনা পরিশোধ করতে হয়। এসব কাজ সম্পাদন করতে এসিল্যান্ড থাকা আবশ্যক। কিন্তু গত ৮ জুলাই তৎকালীন এসিল্যান্ড রয়া ত্রিপুরা বদলি হয়ে পটিয়ায় চলে যান। এরপর থেকে কর্ণফুলীতে এসিল্যান্ড পদে আর কাউকে পদায়ন করা হয়নি। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপজেলা পরিষদ ও ইউপি প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় তাঁর পক্ষে নিয়মিত ভূমি অফিস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী উপজেলা চট্টগ্রামের শহরের পাশে হওয়ায় উপজেলাটির গুরুত্ব দিন দিন বেড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, কর্ণফুলী উপজেলা ভূমি অফিসের অধীনে পাঁচটি সহকারী ভূমি অফিস রয়েছে। এসব অফিসের কাজ উপজেলা সহকারী কমিশনারের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয়। এ পদে কেউ না থাকায় এসব অফিস থেকেও সেবাপ্রার্থীদের নিয়মিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
চরপাথরঘাটা এলাকার ভুক্তভোগী মো. শাহ্ আলম বলেন, ‘একটি মামলা নিয়ে আমি কয়েক মাস ধরে ভূমি অফিসে ঘুরছি। এসিল্যান্ড শুনানির তারিখ ঠিক করেছিলেন, কিন্তু তিনি বদলি হয়ে যাওয়ায় তা আর হয়নি। গত এক মাসেও মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। অফিসের কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না, কবে নাগাদ বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে লোক পদায়ন করতে জেলা প্রশাসককে অফিসিয়ালি জানানো হয়েছে। বর্তমানে ভূমি অফিসের সেবা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শিগগিরই উপজেলায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) পদায়ন করবে বলে তিনি আশাবাদী।