জন্মাষ্টমী উৎসব ঘিরে জেএম সেন হলে চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় পরিষদের ১০ দাবি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৫ আগস্ট, ২০২৫ at ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশকেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে আগামী ১৫ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত চারদিনব্যাপী পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি জন্মাষ্টমী উৎসব সারাদেশব্যাপী যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে পরিষদের পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক জেএম সেন হলে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও আগামীকাল ১৬ আগস্ট সকাল ১০টায় বের করা হবে ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমী মহাশোভাযাত্রা। এই উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। বর্ণাঢ্য মহাশোভাযাত্রা বিপুল সংখ্যক ভক্ত সমাগম হবে। ধর্মমহাসম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃন্দ।

গতকাল ১৪ আগস্ট সকালে নগরীর রহমতগঞ্জস্থ পরিষদের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য দেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন আর.কে দাশ রুপু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট সকাল ১০টায় জেএম সেন হলে রচনা প্রতিযোগিতা ও বিকাল ৫টায় সনাতনী কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ আগস্ট সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য মহাশোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সাধুসন্ত, কূটনীতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। শোভাযাত্রাটি আন্দরকিল্লা থেকে শুরু হয়ে টেরিবাজার, লালদীঘি, কোতোয়ালী, নিউমার্কেট, তিনপোল, বোস ব্রাদার্স, ডিসি হিল, চেরাগি পাহাড় হয়ে জেএম সেন হলে এসে শেষ হবে। দুপুর ২টায় জেএম সেন হলে অনুষ্ঠিত হবে যুবসম্মেলন।

বিকাল ৩টায় মাতৃসম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। বিকাল ৫টায় ধর্মমহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ১৭ ও ১৮ আগস্ট চলবে ষোড়শপ্রহরব্যাপী মহানাম সংকীর্ত্তন। প্রতিদিন দুপুর ও রাতে ভক্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে মহাপ্রসাদ।

সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে পরিষদের পক্ষ থেকে ১০টি দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলোবাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সনাতন সমপ্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত, বেদখল হওয়া সনাতন সমপ্রদায়ের দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার এবং সনাতনীদের হস্তান্তর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঐক্যমত কমিশনে সনাতন সমপ্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি সংযুক্ত এবং সনাতনীদের দাবি নিয়ে আলোচনা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী নেতাদের দখলে থাকা অর্পিত সম্পত্তিগুলো উদ্ধার এবং দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা অর্পিত সম্পত্তি মামলার নিষ্পত্তি, সংসদে সনাতন সমপ্রদায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সংখ্যানুপাতে সনাতনী সমপ্রদায়ের মানুষকে সম্পৃক্ত করা এবং আসন সংরক্ষিত করা, সামপ্রদায়িক হামলার ঘটনার বিচারে দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, পালি শিক্ষা বোর্ড ও সংস্কৃত শিক্ষাবোর্ড গঠন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের নামে বিগত সরকারের সময় সারাদেশে সনাতন সমপ্রদায়ের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগের মতো যেসব সামপ্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটছে তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর মনোভাব এবং দ্রুত অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বিদ্যালাল শীল, চন্দন দাশ, পরেশ চৌধুরী, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ, যুগ্ম সম্পাদক লায়ন রবি শংকর আচার্য, অর্থ সম্পাদক রতন আচার্য, প্রচার সম্পাদক এস প্রকাশ পাল, চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডা. রাজীব বিশ্বাস, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় কমিটির উপঅর্থ সম্পাদক সুমন ঘোষ বাদশা, উপদপ্তর সম্পাদক বাবলু কুমার নাথ, কেন্দ্রীয় কমিটির উপমহিলা সম্পাদিকা ঊষা আচার্য্য, মহানগর শাখার অর্থ সম্পাদক রাজু দাশ, দীপ্তি দাশ প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৃষক আমজনতার উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ
পরবর্তী নিবন্ধপ্রিয় নবীর (দ.) শুভাগমনে খুশি প্রকাশের মাধ্যম হচ্ছে জশনে জুলুস